ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েরি বাহিনী প্রায় ৪০ হাজার টন বোমা ফেলেছে বলে দাবি করেছেন গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ। গতকাল রোববার তিনি এ দাবি করেন। ইরানি সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সালামা মারুফ কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ‘গাজার এক তৃতীয়াং মানুষ মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ থেকেই বোঝা যায়, গাজাকে ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে বোমা ফেলে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে।’
সালামা মারুফ আরও বলেন, ‘গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা তারা গুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের এখন বড় ধরনের ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া উপায় নেই। গত বছর সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতে যত শিশু মারা গেছে, তার চেয়ে বেশি শিশু গত কয়েক দিনে গাজায় মারা গেছে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালালে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নাম দিয়ে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে সালামা মারুফ বলেন, ‘ইসরায়েলের ব্যবহৃত এবারের বোমাগুলো আগে কখনো ব্যবহার করা হয়নি। এ ধ্বংসযজ্ঞ গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ইচ্ছার প্রতিফলন।’
গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেন তিনি। মারুফ জানান, গাজা উপত্যাকার জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ এখনো প্রয়োজনীয় সরবরাহ পায়নি। সেখানে সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি স্পষ্ট।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটি। কাতারের মধ্যস্থতায় গত বুধবার জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। এ চুক্তির আওতায় ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু কয়েদিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এর বিনিময়ে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।