Dhaka ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুষারঝড় ও বন্যায় বিধ্বস্ত রাশিয়া-ইউক্রেন

কৃষ্ণ সাগর উপকূলের ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্ত এলাকায় তুষারঝড় ও বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি ক্রিমিয়া উপদ্বীপেও আঘাত হেনেছে ঝড়টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক পোস্টে লেখে, বৈরী আবহাওয়ার জন্য ইউক্রেনজুড়ে ১০ জন মারা গেছে, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে।’

রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলে আনাপা শহরের কাছে ২১ জন ক্রুসহ একটি পণ্যবাহী জাহাজ তলিয়ে গেছে। রাজধানী মস্কোতে ভারী তুষারপাতের পরে কর্তৃপক্ষকে রাস্তা পরিষ্কার করতে বিশেষ যন্ত্রপাতি নামাতে হয়েছিলো।

ইউক্রেন বলেছে, তুষারঝড়ের পর দেশের ২ হাজার ১৯ টি গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ নেই। এছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি ঝড়টি মলদোভা, জর্জিয়া এবং বুলগেরিয়াতেও আঘাত হেনেছে। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর সোচিতে বড় বড় ঢেউ শহরের সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানতে দেখা গেছে।

এদিকে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের গুজরাট। ভারীবৃষ্টি ও বজ্রপাতে রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

অন্যদিকে, মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং চীন।

ভয়াবহ তুষারঝড় আর বন্যায় বিপর্যন্ত কৃষ্ণ সাগর উপকূলের ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা। রাশিয়া জানিয়েছে, দাগেস্তান, ক্রাসনোদার ও রোস্তভের পাশাপাশি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া ও ক্রিমিয়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৯ লাখ মানুষ। আর ইউক্রেন জানিয়েছে, তুষারঝড়ের পর দেশের ২ হাজার ১৯ টি গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ নেই।

তুষারঝড়ের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি মলদোভা, জর্জিয়া এবং বুলগেরিয়াতেও তুষারঝড় হচ্ছে।

আনাপা শহরের কাছে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলে ২১ জন ক্রুসহ একটি পণ্যবাহী জাহাজ তলিয়ে গেছে। এছাড়াও সেভাস্তোপল বন্দরে সামুদ্রিক বন্যায় একটি ঐতিহাসিক জাদুঘর-অ্যাকোয়ারিয়াম ধ্বংস হয়ে গেলে প্রায় ৮০০ মাছ মারা যায়। স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জাদুঘরের পরিচালকের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বলেছে, তুষারঝড় ও প্রচণ্ড বাতাস দেশের ১৬টি অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওডেসা অঞ্চলে আটকে পড়া যানবাহন থেকে শিশুসহ ৪৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় তুষারপাত ৬.৬ ফুটের বেশি হওয়ার কারণে ৮৪০টির মতো যানবাহনকে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গত শনিবার কিয়েভে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শীতের শুরুতেই তীব্র হামলা শুরুর পরপরই তুষার ঝড়ের কারণে বেকায়দায় পরে গেল রাশিয়ান সেনাবাহিনী।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের গুজরাটে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২শ’ একর জমির ফসল। এছাড়া বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তামিলনাড়– রাজ্যের জনজীবন। অনেক জায়গায় ও রাস্তাঘাটে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

অন্যদিকে, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং চীন। সোমবার দিবাগত রাতে

পাপুয়া নিউ গিনিতে ৬ দশমিক ৫, পাকিস্তানে ৪ দশমিক ২ ও চীনে ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে, এসব ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

তুষারঝড় ও বন্যায় বিধ্বস্ত রাশিয়া-ইউক্রেন

আপডেট : ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

কৃষ্ণ সাগর উপকূলের ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্ত এলাকায় তুষারঝড় ও বন্যায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি ক্রিমিয়া উপদ্বীপেও আঘাত হেনেছে ঝড়টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক পোস্টে লেখে, বৈরী আবহাওয়ার জন্য ইউক্রেনজুড়ে ১০ জন মারা গেছে, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে।’

রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর উপকূলে আনাপা শহরের কাছে ২১ জন ক্রুসহ একটি পণ্যবাহী জাহাজ তলিয়ে গেছে। রাজধানী মস্কোতে ভারী তুষারপাতের পরে কর্তৃপক্ষকে রাস্তা পরিষ্কার করতে বিশেষ যন্ত্রপাতি নামাতে হয়েছিলো।

ইউক্রেন বলেছে, তুষারঝড়ের পর দেশের ২ হাজার ১৯ টি গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ নেই। এছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি ঝড়টি মলদোভা, জর্জিয়া এবং বুলগেরিয়াতেও আঘাত হেনেছে। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর সোচিতে বড় বড় ঢেউ শহরের সমুদ্র উপকূলে আঘাত হানতে দেখা গেছে।

এদিকে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের গুজরাট। ভারীবৃষ্টি ও বজ্রপাতে রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

অন্যদিকে, মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং চীন।

ভয়াবহ তুষারঝড় আর বন্যায় বিপর্যন্ত কৃষ্ণ সাগর উপকূলের ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা। রাশিয়া জানিয়েছে, দাগেস্তান, ক্রাসনোদার ও রোস্তভের পাশাপাশি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া ও ক্রিমিয়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৯ লাখ মানুষ। আর ইউক্রেন জানিয়েছে, তুষারঝড়ের পর দেশের ২ হাজার ১৯ টি গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ নেই।

তুষারঝড়ের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি মলদোভা, জর্জিয়া এবং বুলগেরিয়াতেও তুষারঝড় হচ্ছে।

আনাপা শহরের কাছে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলে ২১ জন ক্রুসহ একটি পণ্যবাহী জাহাজ তলিয়ে গেছে। এছাড়াও সেভাস্তোপল বন্দরে সামুদ্রিক বন্যায় একটি ঐতিহাসিক জাদুঘর-অ্যাকোয়ারিয়াম ধ্বংস হয়ে গেলে প্রায় ৮০০ মাছ মারা যায়। স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জাদুঘরের পরিচালকের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বলেছে, তুষারঝড় ও প্রচণ্ড বাতাস দেশের ১৬টি অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ওডেসা অঞ্চলে আটকে পড়া যানবাহন থেকে শিশুসহ ৪৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছু জায়গায় তুষারপাত ৬.৬ ফুটের বেশি হওয়ার কারণে ৮৪০টির মতো যানবাহনকে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গত শনিবার কিয়েভে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। শীতের শুরুতেই তীব্র হামলা শুরুর পরপরই তুষার ঝড়ের কারণে বেকায়দায় পরে গেল রাশিয়ান সেনাবাহিনী।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের গুজরাটে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২শ’ একর জমির ফসল। এছাড়া বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তামিলনাড়– রাজ্যের জনজীবন। অনেক জায়গায় ও রাস্তাঘাটে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

অন্যদিকে, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং চীন। সোমবার দিবাগত রাতে

পাপুয়া নিউ গিনিতে ৬ দশমিক ৫, পাকিস্তানে ৪ দশমিক ২ ও চীনে ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে, এসব ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।