হামাস–ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এদের মধ্যে ৩০ জন শিশু এবং ৩ জন নারী রয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলের কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতির ও বন্দী বিনিময় চুক্তিতে ১৫০ জন বন্দীকে মুক্তি দিল ইসরায়েল।
অন্যদিকে হামাস গাজা থেকে আরও ১১ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘রেড ক্রসের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তি পাওয়া ওই ১১ জন বন্দি বর্তমানে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের পথে রয়েছেন।’
এর কিছুক্ষণ পরই মুক্তি পাওয়া বন্দিরা ইসরায়েলে পৌঁছান। ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র পরে জানান, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে এবং তারপরে তাদের পরিবারের সাথে তারা পুনরায় মিলিত হবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন আর্জেন্টিনার, তিনজন ফরাসি নাগরিক এবং দুইজন জার্মান নাগরিক।
গত ৭ অক্টোবর গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালালে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নাম দিয়ে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটি। কাতারের মধ্যস্থতায় গত বুধবার জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস-ইসরায়েল। চুক্তি অনুযায়ী হামাস ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে। গতকাল সোমবার ছিল চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিকে আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস।