০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫০০০ ছাড়াল, নিখোঁজ ৭ হাজার

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও চার হাজার।

মূলত গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চললেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহত ১৫ হাজার ছাড়াল। এছাড়া গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ও তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলেছে, নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০জন শিশু ও ৪ হাজার নারী রয়েছে। এ ছাড়া রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মরদেহ।

ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনো অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছ বলে গাজার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে ৩ হাজার ৭০০জন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ২০৭জন চিকিৎসাকর্মী, বেসামরিক উদ্ধারকারী দলের সদস্য ২৬জন ও ৭০জন সাংবাদিক রয়েছেন।

বিবিতৃতি আহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৩৬ হাজার। এদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মারাত্মতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার বসতবাড়ি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত তিনটি গির্জা ও ৮৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার দাবি করেছে হামাস। এ ছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ।

যুদ্ধর সময় উপসানালয়, হাসপাতাল ও বসতবাড়ি হামলার আওতার বাইরে থাকার নিয়ম। কিন্তু ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস এসব ভবনকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ইসরায়েল এ দাবির পেছেন এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।

গত ৭ অক্টোবর গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালালে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নাম দিয়ে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে।

এদিকে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় চারদিনের যুদ্ধবিরতি। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এই সময়ে হামাস ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে। গতকাল সোমবার ছিল চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। ওই দিনই ইসরায়েল জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছে হামাসকে। এবার জানা গেল, সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আরও দুইদিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫০০০ ছাড়াল, নিখোঁজ ৭ হাজার

আপডেট : ০৪:১৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও চার হাজার।

মূলত গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চললেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহত ১৫ হাজার ছাড়াল। এছাড়া গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ হাজার মানুষ। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ও তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি বলেছে, নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০জন শিশু ও ৪ হাজার নারী রয়েছে। এ ছাড়া রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মরদেহ।

ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনো অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছ বলে গাজার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে ৩ হাজার ৭০০জন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ২০৭জন চিকিৎসাকর্মী, বেসামরিক উদ্ধারকারী দলের সদস্য ২৬জন ও ৭০জন সাংবাদিক রয়েছেন।

বিবিতৃতি আহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৩৬ হাজার। এদের ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মারাত্মতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার বসতবাড়ি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত তিনটি গির্জা ও ৮৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার দাবি করেছে হামাস। এ ছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ।

যুদ্ধর সময় উপসানালয়, হাসপাতাল ও বসতবাড়ি হামলার আওতার বাইরে থাকার নিয়ম। কিন্তু ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস এসব ভবনকে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে ইসরায়েল এ দাবির পেছেন এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।

গত ৭ অক্টোবর গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালালে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ নাম দিয়ে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে।

এদিকে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় চারদিনের যুদ্ধবিরতি। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এই সময়ে হামাস ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে। গতকাল সোমবার ছিল চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। ওই দিনই ইসরায়েল জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে প্রস্তাব দিয়েছে হামাসকে। এবার জানা গেল, সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আরও দুইদিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।