গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে দোহায় চলছে আলোচনা
- আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষে গত সোমবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। সেই দুই দিনের বর্ধিত মেয়াদও শেষ হতে যাচ্ছে আজ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে কাতারের রাজধানী দোহায় চলছে আলোচনা।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে দোহায় আলোচনায় বসেছেন আমেরিকা, কাতার, মিসর ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন বলেছে, আরও বেশি সংখ্যক জিম্মি মুক্ত করার স্বার্থে তাঁরা চলমান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে একমত পোষণ করেছেন।
দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও বলেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকল নিয়ম মেনে হামাস যদি আজকের মধ্যে আরও অন্তত ১০জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে আলোচনাকারীরা মনে করেন, যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়ানো উচিত।
এদিকে আজ আরও ৩০জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েল এবং হামাস মুক্তি দিয়েছে ১০জন ইসরায়েলি ও দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিককে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, এর আগে গত সোমবার ১১জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস এবং বিনিময়ে ৩৩ জন ফিলিস্তিনেক ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েল। এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে চলা প্রথম দফার চার দিনের যুদ্ধবিরতি ও পরবর্তীতে আরও দুই দিনের বর্ধিত যুদ্ধবিরতিতে মোট ১৮০জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিল ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে ৫০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে এবং অন্তত ২৪০জনকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে হাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।