প্রধান নির্বাচন কশিমনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘যতদূর বুঝেছি, তারা (ইইউ) আমাদের বক্তব্যে সস্তুষ্টি হয়েছেন। আমাদের কনস্টিটিউশনার অবলিগেশন, একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা আইনত ও সাংবিধানিকভাবে বাধ্য; সেটা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আগেও বলেছি।’
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পর সিইসি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমার বিশ্বাস, আমাদের সাংবিধানিক যে সীমাবদ্ধতা, এটা তারা বুঝতে পেরেছেন। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ থাকে, বিভেদ থাকে; কোনো বিভাজন থাকে, সেখানে কোনোভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। আমরা সেখানে অ্যাংগেজ করতে পারি না।
বক্তব্যের শুরুতে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমি আপনাদের প্রশ্ন নিতে পারব না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব দ্য ডেলিগেশন চার্লস হোয়াটলিসহ আরও নয়টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা এসেছিলেন। নরমালি আমরা এটাকে ইউ ডেলিগেট বলি। তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। সহসাই তাদের একটা এক্সপার্ট টিম আসবে, আমাদের জানিয়েছেন। এক্সপার্ট ইলেকশন অব্জার্ভার টিম। চারজন অলরেডি এসে গেছেন। আমাদের প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আগেও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে, সেই অগ্রগতি আমরা তাদের জানিয়েছি।”
সিইসি আরও বলেন, “আমরা আগের মতো স্পষ্ট করে বলেছি, নির্বাচন যাতে ফ্রি, ফেয়ার, পিসফুল অ্যান্ড ক্রেডিবল হয়। সেটা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের কমিশনাররা সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। তারা জনগণ ও প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করছেন। যাতে করে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে। যাতে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়।”