মনোনয়ন জমার একদিন বাকি থাকলেও এখনও ফরম নেননি জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর দাবি, বুধবারের মধ্যেই মনোনয়নপত্র নেবেন রওশন। এদিকে, রওশনের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিরোধী দলীয় নেতা।
গত সোমবার ২৮৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। এবার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দুটি আসন ঢাকা–১৭ এবং রংপুর–৩ থেকে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এরশাদের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে রংপুর–৩ আসনে হওয়া উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তাঁর ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ। ধারণা করা হয়েছিল, এবারও তিনি এই আসনে মনোনয়ন পাবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের জন্য ময়মনসিংহ-৪ আসন খালি রাখা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির একাংশের নেতাদের অভিযোগ, দলে রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত নেতা–কর্মীদের এবার নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। রংপুর–১ আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে বরাবরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন দলের সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত এই নেতা এবার মনোনয়ন পাননি। তাঁর জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এইচ এম শাহরিয়ার আসিফকে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর দাবি, সমঝোতার ভিত্তিতে রওশন ও সাদ এরশাদের জন্য তিনটি মনোনয়নপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে।
চুন্নু বলেন, ‘ম্যাডাম (রওশন) ওনার বিষয়টা, ওনার ছেলের (সাদ এরশাদ) বিষয়টা এবং আরেকটা কেস। এই তিনটা আমরা এখনও রেখেছি। আশি আশা করছি জোরালো ভাবে যে ম্যাডাম এবং ওনার ছেলে আজকে ফরম নেবেন।’
রওশনপন্থীদের অভিযোগ, তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এ ষড়যন্ত্র। দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করছে কয়েকজন নেতা।
বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক উপদেষ্টা গোলাম মসীহ বলেন, ‘কোনো সমঝোতা এখনও পর্যন্ত হয়নি। উনি তিনটি ফরম রেখেছেন সেটা বেগম রওশন এরশাদ বা সাদ এরশাদ তুলে নিয়ে আসবেন সেটাও ঠিক নয়। এক কথায় বলতে পারি, আমরা নির্বাচনে যেতে চেয়েছিলাম। আমাদের ইলেকশনে যেতে দেওয়া হয়নি।’