ফের অবরোধ ডাকলো বিএনপি-জামায়াত
- আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
সরকারের পদত্যাগ ও তফসিল বাতিলসহ বেশ কিছু দাবিতে অষ্টম দফা শেষে আগামী রোববার (৩ ডিসেম্বর) থেকে নবম দফা অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অবরোধের ডাক দেন।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ ঘোষণা করে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৩০ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একতরফা গণবিরোধী তফসিল ঘোষণা করে দেশকে রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলসমূহ একদলীয় নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন জনগণের সেন্টিমেন্টকে অগ্রাহ্য করে ফরমায়েসি তফসিল ঘোষণা করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন মূলত দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের জনগণ, আন্তর্জাতিক মহল এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগ প্রহসনের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক হিসেবে দেখানোর জন্য ডামি প্রার্থী দিয়ে একটি নতুন নাটকের আয়োজন করতে যাচ্ছে। নিজেদের দলীয় লোকদেরকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে এবং কতিপয় বিশ্বাসঘাতক ও স্বার্থপর লোক দ্বারা পাতানো নির্বাচনের চক্রান্ত করছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বই প্রমাণ করে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে অত্যন্ত সুপরিকিল্পতভাবে শুনানি ছাড়াই জামায়াতের নিবন্ধন মামলা সংক্রান্ত আপিলটি খারিজ করে দিয়ে নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিকাশের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সকল অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অন্যদিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সরকার পদত্যাগের এক দফা, তফসিল বাতিল ও খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সড়ক, নৌ ও রেলপথে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। সব সমমনা দল ও জোটের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হামলা মামলা ও নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ পণ্ড ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে মঙ্গলবার, শুক্রবার ও শনিবার ব্যতীত দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি করে যাচ্ছে দলটি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ২২৩টি অগ্নিসংযোগের ঘ্টনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১৩২টি বাসে, ৩৫টি ট্রাকে, ১৬টি কাভার্ডভ্যানে, ৮টি মোটরসাইকেলে, দুটি প্রাইভেটকারে, তিনটি করে মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজি, ট্রেন ও লেগুনায় এবং একটি করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, নছিমন ও অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া একই সময়ে ১১টি স্থাপনায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ অফিস, পুলিশ বক্স, কাউন্সিলর অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম।