ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করা হয়েছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্কতা সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৯১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১) আজ শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত বুধবার আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী ৫ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মিগজ্যাউম।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর দেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কমে আসে। মিধিলি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এরপরও ঝড়ের কারণে নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়। ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সরকারি হিসাবে দেশের অন্তত ১৫ জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

মিধিলির প্রভাবে টানা বৃষ্টি এবং গাছ ও দেয়ালচাপায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে দেয়াল ধসে ৪ জন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, মিরসরাই ও টাঙ্গাইলে ঝড়ে গাছ পড়ে ৩ জন মারা যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্কতা সংকেত

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১) আজ শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত বুধবার আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী ৫ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মিগজ্যাউম।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর দেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কমে আসে। মিধিলি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। এরপরও ঝড়ের কারণে নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায়। ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে সরকারি হিসাবে দেশের অন্তত ১৫ জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

মিধিলির প্রভাবে টানা বৃষ্টি এবং গাছ ও দেয়ালচাপায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে দেয়াল ধসে ৪ জন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, মিরসরাই ও টাঙ্গাইলে ঝড়ে গাছ পড়ে ৩ জন মারা যান।