১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে ৩২টি দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৬ জন

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই শুরু হয়েছে আজ, যা চলবে চৌঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভোটে অংশ নিতে ৩শ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৭১৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৭৪৭ জন। প্রতি আসন প্রার্থী গড়ে ৯ জনের বেশি। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীই রয়েছে ৪শ’র ওপরে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে জাতীয় পার্টিরও। সবচেয়ে বেশী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বগুড়া-৭ আসনে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে। এই আসনে ভোটে লড়তে চান ২৫ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জেপি, বিএনএম, জাকের পার্টি, এনপিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও মুক্তি জোটের প্রার্থী। বাকি ১৬ জনই স্বতন্ত্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ঢাকা-৫ আসনে। আর এক আসনে সর্বনিম্ন জমা পড়া মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৪টি। এরকম আসন রয়েছে ১২টি।

রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো; আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি।

আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশ বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

নির্বাচনে ৩২টি দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৬ জন

আপডেট : ১০:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি আসনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই শুরু হয়েছে আজ, যা চলবে চৌঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভোটে অংশ নিতে ৩শ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২ হাজার ৭১৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৭৪৭ জন। প্রতি আসন প্রার্থী গড়ে ৯ জনের বেশি। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীই রয়েছে ৪শ’র ওপরে। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে জাতীয় পার্টিরও। সবচেয়ে বেশী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বগুড়া-৭ আসনে। এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বগুড়া-৭ আসনে। এই আসনে ভোটে লড়তে চান ২৫ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জেপি, বিএনএম, জাকের পার্টি, এনপিপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও মুক্তি জোটের প্রার্থী। বাকি ১৬ জনই স্বতন্ত্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ঢাকা-৫ আসনে। আর এক আসনে সর্বনিম্ন জমা পড়া মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৪টি। এরকম আসন রয়েছে ১২টি।

রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো; আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি।

আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশ বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।