ইসরায়েলি সামরিক কাঠামোতে হিজবুল্লাহর হামলা
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
যুদ্ধ বিরতির পর পুনরায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার প্রত্যুত্তরে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে লেবানন ভিত্তিক সংগঠন হিজবুল্লাহ। কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা হিজবুল্লাহর বরাত দিয়ে জানায়, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি সামরিক অবকাঠামোর কাছে ‘উপযুক্ত অস্ত্র’ ব্যবহার করে সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীও শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে, এতে লেবাননের দুই নাগরিক নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর এই প্রথম হিজবুল্লাহ লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের উপর আক্রমণ শুরু করে।
লেবাননের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় হাউলা গ্রামের এক বাড়িতে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে একজন মহিলা ও তার ছেলে নিহত হয়েছেন।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওই নারী ও তার ছেলের পরিচয় নিশ্চিত করে জানায়, নারীর নাম নাসিফা মাজরানি এবং তার ছেলে মোহাম্মদ মাজরানি। পরে হিজবুল্লাহ ঘোষণা করে যে মোহাম্মদ মাজরানি তাদের একজন যোদ্ধা ছিলে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে লেবানন থেকে হামলা করা রকেট গুলোকে প্রতিহত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী আরও বলেছে যে তারা একটি হিজবুল্লাহর “সন্ত্রাসী সেলে” আক্রমণ করেছে।
প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল ও হামাস। গত ২৪ নভেম্বর সকাল থেকে কার্যকর হয় চারদিনের যুদ্ধবিরতি। এরপর আরও দুই দফায় তিনদিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতিকালে নিয়মিত বন্দি বিনিময় হয়েছে।
সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ৮ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পান আরও ৩০ ফিলিস্তিনি। ১০৫ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে মোট ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
আশা করা হচ্ছিল, নতুন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বে বা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা জোরদার হবে। কিন্তু তার আগেই নতুন করে সংঘাত শুরু হলো। তবে কাতারি, মিশরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।