বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি ইতোমধ্যে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১০.৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩.২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৭) এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গভীর নিম্নচাপটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ০১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে বাংলাদেশে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এই ঘূর্ণিঝড় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। গত ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’।