ভূমিকম্প আতঙ্ক, আহত অর্ধশতাধিক শ্রমিক
- আপডেট সময় : ০৮:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কুমিল্লায় ২০ পোশাককর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট গার্মেন্ট কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, আহতদের সেবায় আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত কতজন ভর্তি হয়েছেন সেটার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আহত শ্রমিকদের মধ্যে ২০ জন বেশি আঘাত পেয়েছে। গুরুতর আহত ৪ শ্রমিকসহ ভূমিকম্পের সময় আঘাতপ্রাপ্ত ৬ জন কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ওই গার্মেন্টসের শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে শ্রমিকেরা পদদলিত হয়ে আহত হয়েছে। তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘আমরা অন্তত ১৫ জনকে আহত অবস্থায় গার্মেন্টস থেকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত নই।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘আমাদের কাছে এ পর্যন্ত ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে। আমরা চার জনকে কুমেক হাসপাতালে রেফার করেছি।’
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামের ওই গার্মেন্টসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আহত হয়ে কুমেক হাসপাতালে অন্তত ৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।‘
তবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১২ জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে। আর ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
এর আগে সবশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল সদরে ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। ৪ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।