সহিংসতার শঙ্কায় জিরো টলারেন্স নীতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
- আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার পর থেকেই দেওয়া হচ্ছে হরতাল-অবরোধ। এরপর থেকে এক মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে আগুন দেওয়া হয়েছে প্রায় আড়াইশ যানবাহনে। মারা গেছেন পুলিশসহ ৪ জন।
নাশকতার অভিযোগে এরই মধ্যে গ্রেপ্তারের সংখ্যা কয়েক হাজার। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নাশকতা বাড়তে পারে, এমন তথ্যও রয়েছে পুলিশের কাছে।
নির্বাচন ঘিরে ডিসেম্বরে নাশকতা-সহিংসতা বাড়ার শঙ্কায় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা পরিকল্পনার ছক সাজাচ্ছে ভিন্নভাবে। তবে আইনি কাঠামো নিশ্চিত রেখেই কাজ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
নাশকতার তথ্যে এরই মধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চোরাগোপ্তা হামলা মোকাবিলায়ও রয়েছে পরিকল্পনা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস করেছি। পরিস্থিতি বুঝে আমরা সময়ের সঙ্গে আমাদের কৌশল পরিবর্তন করি। অপরাধের ন্যাচার যখন পাল্টায় তখন পরিকল্পনাও পাল্টাতে হয়।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে নাশকতা ও সহিংসতার শঙ্কা থেকেই যায়। নাশকতার শঙ্কা নিয়েই আমরা নিরাপত্তার পরিকল্পনা সাজিয়েছি।’
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে পরিকল্পনাই নেওয়া হোক তা হতে হবে আইনি কাঠামোর মধ্যে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, সহিংসতা থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে হবে। তবে কোনো রাজনৈতিক দল যখন সহিংসতার ডাক দেয় তখন পুলিশের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যায়। আগামী দিনে এমন চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে বলে আমার মনে হয়।’
শুধু ডিসেম্বর নয়, ৭ জানুয়ারির ভোটের দিনের নিরাপত্তা নিয়েও পরিকল্পনা সাজানোর পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।