নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ দেখে বিদেশিরা সন্তুষ্ট। আমাদের প্রস্তুতি ও নির্বাচনের পরিবেশ দেখে এখন পর্যন্ত বিদেশিরা সন্তুষ্ট। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সাজেশন দেওয়া হয়নি, চাপ তো নয়ই। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো চাপ নেই। বরং নির্বাচন কমিশনের চাপে আছে অন্যরা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তারা বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, নির্বাচনে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকবে সেনাবাহিনীও।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি আলমগীর। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য যে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে সেটা খুবই সীমিত পর্যায়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন সবকিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটা কিংবা ভোটাররা উৎসাহ নিয়ে ভোট দিতে যেতে পারবেন না, এমন ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। তফসিল ঘোষণার পর ভোটার-প্রার্থী থেকে শুরু করে সবাই এটাকে উৎসব হিসেবে নিয়েছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ছোটখাটো চ্যালেঞ্জ তো আছেই। তবে কর্মকর্তারা এমন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি যেটা আমাদের কাছে বড় ইস্যু হিসেবে দেখা দিয়েছে।
প্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনে অতীতেও জেলা প্রশাসন পর্যায়ে কখনো কখনো পরিবর্তন করা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসার শর্ত হিসেবে যে দাবিগুলো তুলেছিল, এর মধ্যে একটা দাবি ছিল প্রশাসনের রদবদল করতে হবে। তার একটা অংশ হিসেবে এটি করা হয়েছে।