গত দশ মাসে ৬৯৫ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যার তথ্য দিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যডভোকেসি ফোরাম। তাদের হিসাবে, এ সময়ে ধর্ষণের শিকার এক হাজার ২২ নারী ও কন্যাশিশু। এসব তথ্য দিয়ে সংগঠনটির মূল্যায়ন- বিচারহীনতার কারণেই থামানো যাচ্ছে না এসব অপরাধ।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যডভোকেসি ফোরাম-এডুকো ৭০টি জাতীয় গণমাধ্যম ও ২৮টি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে সারাদেশে নারী ও কন্যাশিশুদের ও নির্যাতনের ওপর তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ৬৯৫ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ৫০২ জন এবং ১৯৩ জন। ধর্ষণের শিকার ১০২২ জনের মধ্যে নারী ৩৬২ জন এবং কন্যাশিশু ৬৬০ জন। ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার নারী ১৩ কন্যাশিশু ৩৪ জন। আত্মহত্যা করেছে ৫৯০ জন। তাদের ৩৪৭ জন নারী, ২৪৩ জন কন্যাশিশু। গৃহে সহিংসতার শিকার ১৭৯ জন নারী এবং ২০ জন কন্যাশিশু। পাচার এবং অপহরণের শিকার ৩২ জন নারী এবং ১৩৬ জন কন্যাশিশু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আইন থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। এ কারণে বেড়েই চলচে নারী ও শিশু নির্যাতনের হার। রাজনৈতিক দলগুলো সোচ্চার হলে নারী ও শিশুর ওপর নির্যাতন কমে আসবে বলেও মনে করেন বক্তারা।