ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ সিরিজে সমতা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বোলারদের দারুন নৈপূণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সমতা ফেরালো সফরকারী ইংল্যান্ড। গতরাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা বিরাজ করছে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে করে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।

বুধবার রাতে অ্যান্টিগায় টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে ইংল্যান্ডর পেসার স্যাম কারানের বোলিং তোপে সপ্তম ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড় ক্যারিবীয়রা।

ওপেনার অ্যালিক আথানাজকে ৪ রানে শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন ইংল্যান্ড পেসার গাস অ্যাটকিনসন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলেন কারান। কেসি কার্টি ও শিমরোন হেটমায়ারকে খালি হাতে এবং ব্রান্ডন কিংকে ১৭ রানে আউট করেন কারান।

কারানের তোপের পর দলকে লড়াইয়ে ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ ও শেরফানে রাদারফোর্ড। পঞ্চম উইকেটে ১৩৮ বলে ১২৯ রান যোগ করেন তারা। ৩০তম ওভারে দলীয় ১৫২ রানে রাদারর্ফোডকে (৬৩) আউট করে জুটি ভাঙ্গেন ইংল্যান্ডের অফ-স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৮০ বল খেলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড।

৩৪তম ওভারে হোপকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান লিভিংস্টোন। ওয়ানডেতে ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬৮ রান করেন হোপ।

দলীয় ১৬৩ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে হোপের বিদায়ের পর বেশি দূর যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯ দশমিক ৪ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। ইংল্যান্ডের কারান ৩৩ রানে ও লিভিংস্টোন ৩৯ রানে ৩টি করে এবং অ্যাটকিনসন-রেহান আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।

সিরিজে সমতা ফেরাতে ২০৩ রানের টার্গেটে ৩৫ বলে ৫০ রানের সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ৪টি চারে ২১ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওপেনার ফিল সল্ট। এরপর মিডল অর্ডারে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। দু’জনই ৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার গুদাকেশ মোতির শিকার হন।

এক প্রান্ত দিয়ে সতীর্থরা ফিরলেও, অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রেখে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন ওপেনার উইল জ্যাকস। ২০তম ওভারে জ্যাকসকে থামান পেসার রাদারফোর্ড। ৭২ বল খেলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রান করেন রাদারফোর্ড।

দলীয় ১১৬ রানে জ্যাকস ফেরার পর ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক জশ বাটলার। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রান যোগ করে ১০৩ বল বাকী রেখে দলকে জয়ের বন্দরে নেন তারা। ব্রুক ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৩ এবং বাটলার ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৫৮ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোতি ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ইংল্যান্ডের কারান।

আগামী ৯ ডিসেম্বর ব্রিজটাউনে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইংল্যান্ড-উইন্ডিজ সিরিজে সমতা

আপডেট সময় : ১০:১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বোলারদের দারুন নৈপূণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সমতা ফেরালো সফরকারী ইংল্যান্ড। গতরাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা বিরাজ করছে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে করে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে।

বুধবার রাতে অ্যান্টিগায় টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে ইংল্যান্ডর পেসার স্যাম কারানের বোলিং তোপে সপ্তম ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড় ক্যারিবীয়রা।

ওপেনার অ্যালিক আথানাজকে ৪ রানে শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন ইংল্যান্ড পেসার গাস অ্যাটকিনসন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলেন কারান। কেসি কার্টি ও শিমরোন হেটমায়ারকে খালি হাতে এবং ব্রান্ডন কিংকে ১৭ রানে আউট করেন কারান।

কারানের তোপের পর দলকে লড়াইয়ে ফেরান আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ ও শেরফানে রাদারফোর্ড। পঞ্চম উইকেটে ১৩৮ বলে ১২৯ রান যোগ করেন তারা। ৩০তম ওভারে দলীয় ১৫২ রানে রাদারর্ফোডকে (৬৩) আউট করে জুটি ভাঙ্গেন ইংল্যান্ডের অফ-স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৮০ বল খেলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড।

৩৪তম ওভারে হোপকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান লিভিংস্টোন। ওয়ানডেতে ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৮ বলে ৬৮ রান করেন হোপ।

দলীয় ১৬৩ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে হোপের বিদায়ের পর বেশি দূর যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯ দশমিক ৪ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। ইংল্যান্ডের কারান ৩৩ রানে ও লিভিংস্টোন ৩৯ রানে ৩টি করে এবং অ্যাটকিনসন-রেহান আহমেদ ২টি করে উইকেট নেন।

সিরিজে সমতা ফেরাতে ২০৩ রানের টার্গেটে ৩৫ বলে ৫০ রানের সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ৪টি চারে ২১ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওপেনার ফিল সল্ট। এরপর মিডল অর্ডারে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। দু’জনই ৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার গুদাকেশ মোতির শিকার হন।

এক প্রান্ত দিয়ে সতীর্থরা ফিরলেও, অন্যপ্রান্তে রানের চাকা সচল রেখে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন ওপেনার উইল জ্যাকস। ২০তম ওভারে জ্যাকসকে থামান পেসার রাদারফোর্ড। ৭২ বল খেলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রান করেন রাদারফোর্ড।

দলীয় ১১৬ রানে জ্যাকস ফেরার পর ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক জশ বাটলার। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯০ রান যোগ করে ১০৩ বল বাকী রেখে দলকে জয়ের বন্দরে নেন তারা। ব্রুক ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৩ এবং বাটলার ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৫৮ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোতি ৩৪ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ইংল্যান্ডের কারান।

আগামী ৯ ডিসেম্বর ব্রিজটাউনে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।