০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতী নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নই। তারা জানে, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। সিরাজগঞ্জে মুরগির বাচ্চা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান পোড়ানো হয়েছে। এতে সাত হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে। এখন মুরগির বাচ্চাও তাদের (বিএনপি) শত্রু। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার আজকের যে ভয়াবহ চিত্র, সেটায় নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৬০০ যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। দশটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন ও অগ্নিসন্ত্রাসে পুলিশবাহিনীর সদস্য, পরিবহণ শ্রমিক, রাজনৈতিক কর্মীসহ কয়েকজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ২৫০ জন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এরা যখন মুরগির বাচ্চাকেও টার্গেট করেছে, এদের গুপ্ত হামলার টার্গেট আরও বিস্তৃত হতে পারে। আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নির্বাচন বানচালের জন্য এরা মরিয়া হয়ে উঠছে।’

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈঠকে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির দল হিসেবে অনেক কথাই বলতে পারে। রাজনৈতিক দলের হিসেবে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে তারা তো চাইবেই। বাস্তবে কী হবে সেটি পরে দেখা যাবে। চাইতে তো কোনো দোষ নেই, আশা বড় থাকাই ভালো। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমি জানি না। আসন ভাগাভাগি হয়েছে এমন কোনো আলোচনাও হয়নি। আমরা রাজনৈতিক আলোচনা করেছি।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লুকোচুরির বিষয় না। এটা নিয়ে এত ঢাক-ঢোল পেঠানোর কী আছে? নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। কারণ, নির্বাচনবিরোধী শক্তিরা যে অপরাজনীতি করছে, সেটি মোকাবিলার জন্য আমাদের মধ্যে একটা সমন্বয় করা দরকার। কারণ, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করা, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। এজন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এখানে লুকোচুরির কোনো ব্যাপার না। আমরা রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেছি৷

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সেটি বানচালের জন্য ওরা ততই মরিয়া হয়ে উঠছে। মরণ কামড় দিতে চাইছে। সে কারণেই আজকে নির্বাচনমুখী যে রাজনৈতিক দল আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের আগে জোট ছিল, মহাজোট ছিল, তাদের সঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগিতা, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক, আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি, জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করেছি।’ নির্বাচন বানচালে বিএনপির গুপ্ত টার্গেট আরো ভয়াবহ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না: কাদের

আপডেট : ১০:৩১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলেও একতরফা কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার বন্ধু দেশগুলো বাংলাদেশের বিষয়ে চরম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এখন আর পক্ষপাতী নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নই। তারা জানে, বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপি ততই নির্বাচন বানচালে মরিয়া হয়ে উঠছে। তাদের নাশকতার মাত্রা আরও বিস্তৃত হতে পারে। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। সিরাজগঞ্জে মুরগির বাচ্চা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যান পোড়ানো হয়েছে। এতে সাত হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়ে গেছে। এখন মুরগির বাচ্চাও তাদের (বিএনপি) শত্রু। মুরগির বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতা, গুপ্ত হামলার আজকের যে ভয়াবহ চিত্র, সেটায় নতুন নতুন রেকর্ড স্থাপন করছে তারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৬০০ যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। দশটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন ও অগ্নিসন্ত্রাসে পুলিশবাহিনীর সদস্য, পরিবহণ শ্রমিক, রাজনৈতিক কর্মীসহ কয়েকজন মারা যাওয়ার পাশাপাশি ২৫০ জন মানুষ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। এরা যখন মুরগির বাচ্চাকেও টার্গেট করেছে, এদের গুপ্ত হামলার টার্গেট আরও বিস্তৃত হতে পারে। আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। নির্বাচন বানচালের জন্য এরা মরিয়া হয়ে উঠছে।’

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈঠকে আসন বণ্টনের প্রসঙ্গ আসেনি, আলোচনা হয়েছে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনমুখী দলগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নাশকতা-গুপ্ত হামলার মতো নির্বাচনবিরোধী অপকর্ম প্রতিহত করা নিয়ে। রাজনৈতিক আলোচনাই ছিল মুখ্য।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির দল হিসেবে অনেক কথাই বলতে পারে। রাজনৈতিক দলের হিসেবে নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে তারা তো চাইবেই। বাস্তবে কী হবে সেটি পরে দেখা যাবে। চাইতে তো কোনো দোষ নেই, আশা বড় থাকাই ভালো। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমি জানি না। আসন ভাগাভাগি হয়েছে এমন কোনো আলোচনাও হয়নি। আমরা রাজনৈতিক আলোচনা করেছি।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লুকোচুরির বিষয় না। এটা নিয়ে এত ঢাক-ঢোল পেঠানোর কী আছে? নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। কারণ, নির্বাচনবিরোধী শক্তিরা যে অপরাজনীতি করছে, সেটি মোকাবিলার জন্য আমাদের মধ্যে একটা সমন্বয় করা দরকার। কারণ, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করা, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। এজন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এখানে লুকোচুরির কোনো ব্যাপার না। আমরা রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেছি৷

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, সেটি বানচালের জন্য ওরা ততই মরিয়া হয়ে উঠছে। মরণ কামড় দিতে চাইছে। সে কারণেই আজকে নির্বাচনমুখী যে রাজনৈতিক দল আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের আগে জোট ছিল, মহাজোট ছিল, তাদের সঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগিতা, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক, আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি, জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আলোচনা করেছি।’ নির্বাচন বানচালে বিএনপির গুপ্ত টার্গেট আরো ভয়াবহ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

পোশাকখাতে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নতুন শর্ত প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশে বন্ধুহীন নেই। তারা জানে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনা কীভাবে নির্বাচন করছেন। দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে জন্য নির্বাচন করছেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই সরকারি ও বিরোধী দল আসবে।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।