১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে খানিকটা বিরতির পর আজ (শুক্রবার) আবার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি পাস করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘে আরব আমিরাতের মিশন গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজা পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হয়ে পড়েছে এবং তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না। নিরাপত্তা পরিষদকে এখন একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার দাবির পক্ষে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ নম্বর ধারা কার্যকর করার পর আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে আরেকবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলো। এর আগে আমেরিকার ভেটোর কারণে এ ধরনের একাধিক উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ আমেরিকা ও ব্রিটেন গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ওই দুই সাম্রাজ্যবাদী দেশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ স্বার্থে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।

গত মাসে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছিল তাতে আমেরিকা ভোটদানে বিরত থাকে। ওই প্রস্তাবকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে চারদিন এবং পরে আরো তিনদিনের যুদ্ধবিরতির সুযোগে প্রায় ১০০ ইসরাইলি বন্দি হামাসের হাত থেকে মুক্তি পায় এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায়। গত ১ ডিসেম্বরের পর আর সে যুদ্ধবিরতি নবায়ন করা যায়নি। এই সুযোগে গাজা উপত্যকার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান

আপডেট : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে খানিকটা বিরতির পর আজ (শুক্রবার) আবার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তোলা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি পাস করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘে আরব আমিরাতের মিশন গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজা পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হয়ে পড়েছে এবং তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারছি না। নিরাপত্তা পরিষদকে এখন একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার দাবির পক্ষে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে জাতিসংঘ সনদের ৯৯ নম্বর ধারা কার্যকর করার পর আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে আরেকবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হলো। এর আগে আমেরিকার ভেটোর কারণে এ ধরনের একাধিক উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ আমেরিকা ও ব্রিটেন গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ওই দুই সাম্রাজ্যবাদী দেশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ স্বার্থে গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।

গত মাসে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার যে প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছিল তাতে আমেরিকা ভোটদানে বিরত থাকে। ওই প্রস্তাবকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে চারদিন এবং পরে আরো তিনদিনের যুদ্ধবিরতির সুযোগে প্রায় ১০০ ইসরাইলি বন্দি হামাসের হাত থেকে মুক্তি পায় এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায়। গত ১ ডিসেম্বরের পর আর সে যুদ্ধবিরতি নবায়ন করা যায়নি। এই সুযোগে গাজা উপত্যকার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা।