তারা মার্চ মাসে দেশে এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা কে? তাদের কোনো নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। একসময় বলেছিল- নির্বাচন হতে দেবে না। উস্কানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে, যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে একটি অপশক্তি বিশৃঙ্খলা করতে চেষ্টা করবে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোনো অবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদের ধরে পুলিশের সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুন-সন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, আমি মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি, আমার মতো সৌভাগ্য কারও নেই। আমার এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না- যেটা আপনারা করেন। আমি জানি না আর কোনো প্রার্থী সৌভাগ্যবান কিনা, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি যার সুফলটা সবাই পায়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ভোট প্রার্থনা নয়।’
গোপালগঞ্জে ব্যক্তিগত সফরের দ্বিতীয় দিন পতাকাবিহীন গাড়িতে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানের প্রটোকলের গাড়ি সংখ্যাও ছিল কম। যাত্রাপথে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে শুভেচ্ছা জানান অপেক্ষমাণ জনতা।
সকাল ১০ টায় কোটালিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছান দলীয় প্রধান। দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তাঁদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। এ সময় নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতাদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা দেন। ঘণ্টাখানেক বৈঠক শেষে আবারও টুঙ্গিপাড়া ফেরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এরআগে, টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে সকাল পৌনে ১০টায় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেসময় তাকে স্বাগত জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি মো. শহিদ উল্লাহ খন্দকারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে পতাকাবিহীন গাড়িতে চলাচল করছেন। কোটালিপাড়ায় তিনি ঘরোয়াভাবে স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
এরআগে, দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে বৃহস্পতিবার বিকালে সড়ক পথে গোপালগঞ্জ যান প্রধানমন্ত্রী। আজই সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার।