অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রপ্তানির ওপর ন্যূনতম মূল্যের বিধিনিষেধ আরও তিন মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার।
এই খবরেই বাজারে আকাশচুম্বি পেঁয়াজের দাম। কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল থেকেই রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা করে এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
এদিকে চট্টগ্রামে পাইকারিতে চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায়। যা বৃহস্পতিবারও ছিল ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। যা বিক্রি হচ্ছিল ১০০ টাকায়।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে।
পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২৯ অক্টোবর বাড়তি রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে ভারত। চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ দেওয়া হলেও তা আরও তিন মাসের জন্য বাড়ানো হলো।
এ বিষয়ক আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বিশ্বের যেকোনো দেশেই পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে। তবে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম মূল্য ৮০০ ডলার রাখতে হবে। পরিবহন ও বীমা খরচ এ দামের সাথে অন্তর্ভুক্ত নয় বলেও জানানো হয়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, ‘ভারত সরকারের বেধে দেওয়া রফতানি মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যেই ভারত সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেমনি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।’