১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্রখ্যাত আইনজীবী।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা জামে মসজিদে প্রথম জানাজা, বাদ যোহর সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হবে। মইনুল হোসেন স্ত্রী,পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি একসময় ইত্তেফাকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ডেইলি নিউ ন্যাশন নামে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশকও ছিলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপর মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।

মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রচলন করলে, মইনুল তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন।

সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মইনুল হোসেন। এছাড়া তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো শোক বার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

আপডেট : ০৫:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্রখ্যাত আইনজীবী।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী আ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বারিধারা জামে মসজিদে প্রথম জানাজা, বাদ যোহর সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হবে। মইনুল হোসেন স্ত্রী,পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি একসময় ইত্তেফাকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি ডেইলি নিউ ন্যাশন নামে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশকও ছিলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপর মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।

মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রচলন করলে, মইনুল তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন।

সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মইনুল হোসেন। এছাড়া তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

শনিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো শোক বার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।