ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সিলেটের হরিপুরে গ্যাসের পাশাপাশি তেলের সন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত মাসের শেষ দিকে সিলেটের হরিপুরে নতুন একটি কুপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ। এমন ঘোষণার ১৪ দিন পর সেখানে তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতি ঘণ্টায় সেখান থেকে ৩৫ ব্যারেল তেল উঠছে। তবে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর সেখান থেকে তেল পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাস ছাড়াও এ কূপে উপরের দিকে ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে। যেখানে গত শুক্রবার পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে মোট তেলের মজুত জানা যাবে।

তিনি বলেন, একযোগে উৎপাদন করা হলে এই কূপটি প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর সাসটেইন করবে। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে কূপটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় সাসটেইন করবে। সব মিলিয়ে এখান থেকে প্রায় ২০ বছর সুফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, তেলের যে অংশ আছে সেটা আমরা তিনটি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা মজুত কত সেটা বলতে পারব। একটি সুখবর হলো গ্যাস এবং তেলের স্তর ভিন্ন। আগে আমাদের গ্যাসের সঙ্গে কিছু তেল আসত। এখন তেলটা আলাদা হয়ে গেছে। এটা সুখবর সবার জন্য।

তিনি বলেন, গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে চার স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এর ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত এই অনুসন্ধান কূপে দুই মাস আগে খনন কাজ শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কোম্পানি। গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূপটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিলেটের হরিপুরে গ্যাসের পাশাপাশি তেলের সন্ধান

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

গত মাসের শেষ দিকে সিলেটের হরিপুরে নতুন একটি কুপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ। এমন ঘোষণার ১৪ দিন পর সেখানে তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতি ঘণ্টায় সেখান থেকে ৩৫ ব্যারেল তেল উঠছে। তবে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর সেখান থেকে তেল পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাস ছাড়াও এ কূপে উপরের দিকে ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে। যেখানে গত শুক্রবার পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে মোট তেলের মজুত জানা যাবে।

তিনি বলেন, একযোগে উৎপাদন করা হলে এই কূপটি প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর সাসটেইন করবে। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে কূপটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় সাসটেইন করবে। সব মিলিয়ে এখান থেকে প্রায় ২০ বছর সুফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, তেলের যে অংশ আছে সেটা আমরা তিনটি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা মজুত কত সেটা বলতে পারব। একটি সুখবর হলো গ্যাস এবং তেলের স্তর ভিন্ন। আগে আমাদের গ্যাসের সঙ্গে কিছু তেল আসত। এখন তেলটা আলাদা হয়ে গেছে। এটা সুখবর সবার জন্য।

তিনি বলেন, গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে চার স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এর ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত এই অনুসন্ধান কূপে দুই মাস আগে খনন কাজ শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কোম্পানি। গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূপটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।