০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে: জাতিসংঘ

ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে গাজায় তীব্র হচ্ছে খাদ্য সংকট। সেখানকার অর্ধেক মানুষ অনাহারে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ভূখণ্ডটির প্রতি ১০ জনে নয় জনই প্রতিদিন খাবার পায় না। গাজা পরিদর্শনের পর এমনটাই বলেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক কার্ল স্কাউ।

শুক্রবার গাজা পরিদর্শন করেন কার্ল। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। মানুষ অনাহারে থাকছে।’

এক্সে দেয়া পোস্টে ডব্লিউএফপির উপপরিচালক আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তার সামান্যই গাজায় ঢুকতে পারছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই প্রতিদিন খাবার জোটে না।

ইসরাইলের অব্যাহত হামলার দিকে ইঙ্গিত করে কার্ল বলেন, গাজার পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ পৌঁছানো ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে উঠেছে।

চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএফপি দলের গাজা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কার্ল আরও বলেন, তাঁরা গুদাম ও বিতরণকেন্দ্রগুলোর সামনে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষকে মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করতে দেখেছেন। সেখানকার দোকানগুলো ছিল শূন্য। আর শৌচাগারের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন।

যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর পর গাজায় তীব্র হয়েছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। একে বিপর্যয়কর ও অসম্মানজনক বলে নিন্দা জানিয়েছে তারা। মার্কিন ভেটোর নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। একইসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।

রাতভর মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা ও নুসাইরাত, দক্ষিণে রাফাহ ও খান ইউনিস এবং উত্তরে গাজা শহরে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

হামাসের সুড়ঙ্গ রয়েছে অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে খান ইউনিসে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হামাস নির্মূলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লড়াই চালাচ্ছে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া গোলাবর্ষণের পর থেকে হাসপাতালে বেড়েছে হামলার শিকার মানুষের সংখ্যা।

গেল এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্কুল ও হাসপাতালকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। হামাস কর্তৃপক্ষের বরাতে আল-জাজিরা বলছে, একদিনে মধ্য ও দক্ষিণ গাজার হাসপাতালে ১৩৩ মরদেহ আনা হয়েছে।

গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে আড়াইশ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে: জাতিসংঘ

আপডেট : ০৬:১৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে গাজায় তীব্র হচ্ছে খাদ্য সংকট। সেখানকার অর্ধেক মানুষ অনাহারে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ভূখণ্ডটির প্রতি ১০ জনে নয় জনই প্রতিদিন খাবার পায় না। গাজা পরিদর্শনের পর এমনটাই বলেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক কার্ল স্কাউ।

শুক্রবার গাজা পরিদর্শন করেন কার্ল। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। মানুষ অনাহারে থাকছে।’

এক্সে দেয়া পোস্টে ডব্লিউএফপির উপপরিচালক আরও বলেন, প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তার সামান্যই গাজায় ঢুকতে পারছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই প্রতিদিন খাবার জোটে না।

ইসরাইলের অব্যাহত হামলার দিকে ইঙ্গিত করে কার্ল বলেন, গাজার পরিস্থিতির কারণে ত্রাণ পৌঁছানো ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে উঠেছে।

চলতি সপ্তাহে ডব্লিউএফপি দলের গাজা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কার্ল আরও বলেন, তাঁরা গুদাম ও বিতরণকেন্দ্রগুলোর সামনে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষকে মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করতে দেখেছেন। সেখানকার দোকানগুলো ছিল শূন্য। আর শৌচাগারের সামনে ছিল দীর্ঘ লাইন।

যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর পর গাজায় তীব্র হয়েছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। একে বিপর্যয়কর ও অসম্মানজনক বলে নিন্দা জানিয়েছে তারা। মার্কিন ভেটোর নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। একইসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।

রাতভর মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা ও নুসাইরাত, দক্ষিণে রাফাহ ও খান ইউনিস এবং উত্তরে গাজা শহরে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

হামাসের সুড়ঙ্গ রয়েছে অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে খান ইউনিসে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হামাস নির্মূলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লড়াই চালাচ্ছে তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া গোলাবর্ষণের পর থেকে হাসপাতালে বেড়েছে হামলার শিকার মানুষের সংখ্যা।

গেল এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্কুল ও হাসপাতালকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। হামাস কর্তৃপক্ষের বরাতে আল-জাজিরা বলছে, একদিনে মধ্য ও দক্ষিণ গাজার হাসপাতালে ১৩৩ মরদেহ আনা হয়েছে।

গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে আড়াইশ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই হয়েছে।