৫০ মিনিট কি কথা হলো পুতিন–নেতানিয়াহুর
- আপডেট সময় : ০৫:১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার এই দুই নেতার মধ্যে টানা ৫০ মিনিট ফোনালাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এ সময় পুতিন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে হামাস–ইসরায়েল সংঘাত ও মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হয়।
এই আলাপের সময় ইরান ও রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারটি উল্লেখ করে রাশিয়ার সমালোচনা করেন নেতানিয়াহু। এই সম্পর্ককে তিনি ‘ভয়াবহ সহযোগিতা’ হিসবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাশিয়া বারবার যে অবস্থান নিচ্ছে, সেটারও সমালোচনা করেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলছে, রাশিয়া নিয়ে কড়া কথা শুনান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, হামাস ইসরায়েলের ওপর যে হামলা চালিয়েছে, অন্য কোনো দেশের ওপর চালারেও সেই দেশ ইসরায়েলের মতোই পাল্টা হামলা চালাতো। এমন সন্ত্রাসী সংগঠন এভাবে হামলা চালালে কোনো দেশই থেমে থাকতো না।
এ সময় পুতিনকে বিশেষ অনুরোধ করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, এখনো হামাসের কাছে বন্দী আছে ১৩৭ জিম্মি। এসব জিম্মিদের কাছে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা পৌঁছৈ দিতে রেড ক্রসকে যেন পুতিন নির্দেশ দেন। জিম্মি হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের পাশে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। তবে এই ফোনালাপ নিয়ে ক্রেমলিন থেকে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
অপরদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ টেলিফোন আলাপ নিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পুতিনকে বলেছেন, জাতিসংঘের রুশ দূত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছেন এতে তারা (ইসরায়েল) খুশি নন।
এছাড়া ইরানের সঙ্গে রাশিয়া যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলছে সে বিষয়টি নিয়েও ইসরায়েল নাখোশ বলে পুতিনকে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
গাজায় নির্বিচার হামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে নেতানিয়াহু পুতিনকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যে হামলা চালিয়েছে, সেটি যদি অন্য কোনো দেশে হতো, তারাও একই প্রতিক্রিয়া দেখাত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গত শুক্রবার আনা প্রস্তাব ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৮৭ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এদিকে ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে গাজায় তীব্র হচ্ছে খাদ্য সংকট। সেখানকার অর্ধেক মানুষ অনাহারে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ভূখণ্ডটির প্রতি ১০ জনে নয় জনই প্রতিদিন খাবার পায় না।
যুদ্ধবিরতিতে আমেরিকার ভেটোর পর গাজায় তীব্র হয়েছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় আমেরিকার সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। একে বিপর্যয়কর ও অসম্মানজনক বলে নিন্দা জানিয়েছে তারা।
মার্কিন ভেটোর নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। একইসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।