বাফুফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে বিকেএসপি

- আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৭১ বার পড়া হয়েছে

এক বছরের জন্য দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকে। একই ফুটবলারকে নাম পরিবর্তন করে দুই লিগে খেলতে সহযোগিতা করায় প্রতিষ্ঠানটিকে এমন শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সেই সঙ্গে শাস্তি দেয়া হয়েছে জালিয়াতিতে জড়িত প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড়দেরও।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাফুফে। কিন্তু বাফুফের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে বিকেএসপি।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে খেলোয়াড় তৈরির আঁতুড়ঘর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপি। যে প্রতিষ্ঠান থেকে উঠে এসেছেন দেশের বিভিন্ন খেলাধুলার নক্ষত্ররা।
চলতি বছর তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চকবাজার কিংস। সেই দলেই খেলেছিলেন বিকেএসপির বেশ কয়েকজন ফুটবলার। আবার তারাই নাম পরিবর্তন করে বিকেএসপির হয়ে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে। দুই লিগে দুই নামে খেলা বাফুফের নিয়মবহির্ভূত, যা নজরে আসার পরই তদন্তে নামে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এরপর সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় বাফুফে।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিকেএসপির সিনিয়র ফুটবল কোচ শাহীনুল হক এবং প্রশিক্ষক রবিউল ইসলামকে ফুটবল সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বাফুফে। সেই সঙ্গে দেয়া হয় অর্থদন্ড। খেলোয়াড়দের নাম পরিবর্তনে এই দুই প্রশিক্ষকের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সঙ্গে অভিযুক্ত তিন ফুটবলারকেও নিষিদ্ধ করা হয় ছয় ম্যাচের জন্য। আর সেই সঙ্গে বিকেএসপিকে ঘরোয়া ফুটবলে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া চলমান দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের বাকি খেলায় বিকেএসপিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান ব্যক্তির (খেলোয়াড়) জন্য প্রতিষ্ঠান শাস্তিপ্রাপ্ত হতে পারে না। বিকেএসপি কোনো অন্যায় করেনি, তাই বাফুফের সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপিল করা হবে।