০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় নিহত বেড়ে ১৮ হাজার, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণহানি বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। পাল্টা হুমকি দিতে কার্পণ্য করেনি হামাসও। রোববার (১০ ডিসেম্বর) গাজার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে বিমান হামলা চালিয়েছে উত্তর গাজায়। হামাসকে দমনের জন্য গত ছয় সপ্তাহ ধরে গাজায় নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। খবর আল জাজিরা

হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ হাজারে। যার অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যাও প্রায় অর্ধ লাখ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ফলে সেখানে নতুন কোনও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ‘সংকীর্ণ’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছে কাতার। রাজধানীতে আয়োজিত দোহা ফোরামে বক্তৃতায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি একথা বলেন।

তিনি বলেছেন, এরপরও যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে কাতার। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৮ হাজার।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৯৭ জন নিহত এবং আরও ৫৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ভূখণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া আল জাজিরার কাছে দেওয়া এক অডিও বার্তায় হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তারা ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করেছে এবং ইসরায়েল আলোচনায় জড়িত না হওয়া পর্যন্ত আর কোনও বন্দি মুক্তি পাবে না।

বার্তায় মুখপাত্র আবু উবাইদা আরও বলেছেন, হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ১৮০টি সামরিক যান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে এবং বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করেছে। হামাস এখনও ইসরায়েলের ওপর হামলা করছে এবং ‘সামনের দিনগুলোতে তা হবে আরও ব্যাপক’।

এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল রোববার বলেছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পথে। তিনি দ্রুত হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত কয়েক দিনে, কয়েক ডজন হামাস সন্ত্রাসী আমাদের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’ তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এমন কোনো প্রমাণ পেশ করেনি। হামাসও এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। মাসখানেক আগে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন- হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

গাজায় নিহত বেড়ে ১৮ হাজার, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নেই

আপডেট : ০৬:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণহানি বেড়েই চলছে। এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। পাল্টা হুমকি দিতে কার্পণ্য করেনি হামাসও। রোববার (১০ ডিসেম্বর) গাজার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে বিমান হামলা চালিয়েছে উত্তর গাজায়। হামাসকে দমনের জন্য গত ছয় সপ্তাহ ধরে গাজায় নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। খবর আল জাজিরা

হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ হাজারে। যার অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যাও প্রায় অর্ধ লাখ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ফলে সেখানে নতুন কোনও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ‘সংকীর্ণ’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছে কাতার। রাজধানীতে আয়োজিত দোহা ফোরামে বক্তৃতায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি একথা বলেন।

তিনি বলেছেন, এরপরও যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় পক্ষকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে কাতার। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৮ হাজার।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৯৭ জন নিহত এবং আরও ৫৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ভূখণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এছাড়া আল জাজিরার কাছে দেওয়া এক অডিও বার্তায় হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তারা ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করেছে এবং ইসরায়েল আলোচনায় জড়িত না হওয়া পর্যন্ত আর কোনও বন্দি মুক্তি পাবে না।

বার্তায় মুখপাত্র আবু উবাইদা আরও বলেছেন, হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ১৮০টি সামরিক যান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে এবং বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করেছে। হামাস এখনও ইসরায়েলের ওপর হামলা করছে এবং ‘সামনের দিনগুলোতে তা হবে আরও ব্যাপক’।

এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল রোববার বলেছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পথে। তিনি দ্রুত হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত কয়েক দিনে, কয়েক ডজন হামাস সন্ত্রাসী আমাদের বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।’ তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এমন কোনো প্রমাণ পেশ করেনি। হামাসও এ ধরনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। মাসখানেক আগে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত দাবি করেছিলেন- হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।