গাজার বিপর্যয়কর পরিস্থিতির নিন্দা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- আপডেট সময় : ০৬:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
গাজায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতির জন্য নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজায় অবিলম্বে কোনো বাধা ছাড়াই প্রবেশের অনুরোধ জানিয়েছে। এর আগে সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর হিসেবে অভিহিত করেন।
আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাবে ভোট দেবে।
এরই মধ্যে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ বিমান এবং ড্রোন হামলা বাড়ানোয় লেবাননে জাতিসংঘের বাহিনী সংঘাত আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে।
এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১৩টি দেশ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো একটি বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাব পাস করা যায় না।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেন, ‘এটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার কড়া সমালোচনা করে রাশিয়া। এ কারণে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।
এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করেন। ৯৯ অনুচ্ছেদের আওতায় জাতিসংঘ মহাসচিব এমন যে কোনো বিষয় নিরাপত্তা পরিষদের নজরে আনতে পারেন, যেটিকে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য হুমকি হতে পারে বলে মনে করেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু থেকে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।