ইসরায়েল–হামাস সংঘাত ইস্যুতে একের পর এক চাপের মুখে পড়ছে মার্কিন প্রশাসন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপটা একটু বেশি। এবার সেই চাপ আরও বাড়ালেন দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) কর্মকর্তারা। এই বিভাগের মন্ত্রীকে এরই মধ্যে একটি চিঠি দিয়েছেন তারা। তাতে প্রশাসনের ‘একচোখা’ নীতির প্রতি ক্ষোভ জানানো হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাসকে গত ২২ নভেম্বর পাঠানো এই খোলা চিঠিতে সই করেছেন শতাধিক কর্মকর্তা। তবে চাকরি হারানোর ভয়ে অনেকেই নাম উল্লেখ করেননি।
চিঠিতে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় মানবিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। পশ্চিম তীরের অবস্থাও ভালো নয়। এ নিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কোনো কথাই নেই। কোনো নিন্দাও নেই। তারা যেন অন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ‘একচোখা’ নীতিতে চলছে।
এই চিঠিতে সই করা ১৩৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও এর আওতায় থাকা কাস্টমস অ্যান্ড প্রটেকশন (সিবিপি), দ্য ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এফইএমএ), ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) ও সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) কর্মকর্তারা।
তবে এ ব্যাপারে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত মাসে আমেরিকার ৪০টি সরকারি সংস্থার ৫০০ কর্মকর্তা গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে চিঠি পাঠান। এ ছাড়া ইউএসএআইডি থেকেও চিঠি দেন প্রায় ১ হাজার কর্মকর্তা। কিন্তু বাইডেন এ পথে কখনোই হাঁটেননি।
এদিকে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসন তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে এই বিষয়ক প্রস্তাবটি পাস হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তের অনুমোদন চেয়ে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ২২১টি ভোট পড়ে। অপরদিকে এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ২১২ ভোট পড়ে।
মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর ৫৩ বছর বয়সী ছেলে হান্টার বাইডেনের বৈদেশিক ব্যবসা থেকে অন্যায়ভাবে কোনো সুবিধা নিয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। তবে ডেমোক্র্যাট এই নেতার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো অন্যায়ের প্রমাণ খুঁজে পায়নি রিপাবলিকানরা।
বাইডেনের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অ্যাখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউস।