০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপমাত্রা কমবে, শীত বাড়বে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৬:২৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৬ দেখেছেন

ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

গ্রামীণ নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালীর কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। ৮টার পর সূর্যের দেখা মেলায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পঞ্চগড়ে সকালে রোদ উঠলেও বেড়েছে শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।

এদিকে একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। কমেছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আজ সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) যা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার যা ছিল রাজশাহীতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে কমেছে ১.৭ ডিগ্রি।

এছাড়া দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ১০ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৬ ডিগ্রি ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে ১১ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে অনেক জেলার তাপমাত্রা।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গতদিনের থেকে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের মৌসুমের সর্বনিম্ন। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

তাপমাত্রা কমবে, শীত বাড়বে

আপডেট : ০৬:২৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

গ্রামীণ নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালীর কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

উত্তরের হিমশীতল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। ৮টার পর সূর্যের দেখা মেলায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পঞ্চগড়ে সকালে রোদ উঠলেও বেড়েছে শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।

এদিকে একদিনের ব্যবধানে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। কমেছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। এছাড়া রাতের তাপমাত্রা আরেকটু কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আজ সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) যা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার যা ছিল রাজশাহীতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে কমেছে ১.৭ ডিগ্রি।

এছাড়া দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ১০ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৬ ডিগ্রি ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে ১১ ডিগ্রির ঘরে নেমেছে অনেক জেলার তাপমাত্রা।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গতদিনের থেকে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের মৌসুমের সর্বনিম্ন। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।