০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসররা জ্বালাও পোড়াও করছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গাড়ি পোড়চ্ছে, জ্বালাও পোড়াও করছে তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর। তিনি এই অপশক্তিকে না বলার আহবান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন নির্বাচন এলেই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়, এবারও চক্রান্ত চলছে। এসব চক্রান্তের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ে শহীদদের রক্তের প্রতিদান দেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন দলের কেন্দ্রীয় মহানগরের নেতারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র তিন বছর সাত মাসে দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতিটা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাবতেও পারেনি বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা বলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে? এটা তো বটমলেস বাস্কেট হবে। তারা এই উন্নয়নটাকে মেনে নিতে পারেনি। একটা দেশ এত দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের ওপর উঠতে পারে, এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

যারা রেললাইন কাটে, ফিশপ্লেট খুলে ফেলে তারা পরাজিত শক্তির দোসর। জনগণের প্রতি এদেরকে না বলারও আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও আত্মদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন বুদ্ধিজীবীদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।

আন্দোলনের নামে বিএনপি জামাত দেশে নৈরাজ্য করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর। এসব কর্মকাণ্ড রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন জিয়া এবং খালেদা জিয়ার মত তার ছেলে তারেক রহমান ও মানুষ মারার রাজনীতি করছে। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ পিছিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের চেতনা সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, স্বাধীনতা সংগ্রামে বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা।

‘একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসররা জ্বালাও পোড়াও করছে’

আপডেট : ০১:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা গাড়ি পোড়চ্ছে, জ্বালাও পোড়াও করছে তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর। তিনি এই অপশক্তিকে না বলার আহবান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন নির্বাচন এলেই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয়, এবারও চক্রান্ত চলছে। এসব চক্রান্তের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ে শহীদদের রক্তের প্রতিদান দেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন দলের কেন্দ্রীয় মহানগরের নেতারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র তিন বছর সাত মাসে দেশটাকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন। স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘ কর্তৃক আদায় করেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতিটা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীরা ভাবতেও পারেনি বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা বলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে? এটা তো বটমলেস বাস্কেট হবে। তারা এই উন্নয়নটাকে মেনে নিতে পারেনি। একটা দেশ এত দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে, প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের ওপর উঠতে পারে, এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

যারা রেললাইন কাটে, ফিশপ্লেট খুলে ফেলে তারা পরাজিত শক্তির দোসর। জনগণের প্রতি এদেরকে না বলারও আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও আত্মদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন বুদ্ধিজীবীদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।

আন্দোলনের নামে বিএনপি জামাত দেশে নৈরাজ্য করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর। এসব কর্মকাণ্ড রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন জিয়া এবং খালেদা জিয়ার মত তার ছেলে তারেক রহমান ও মানুষ মারার রাজনীতি করছে। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ পিছিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের চেতনা সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, স্বাধীনতা সংগ্রামে বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা।