দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে ছয়দিনে ২৭৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। শুক্রবার (১৫ ই ডিসেম্বর) আপিল দায়েরের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ষষ্ঠদিনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২২ জন। বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রবিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এছাড়া নামঞ্জুর হয়েছে ৬২ প্রার্থীর আপিল আবেদন।
গতকাল পঞ্চমদিনের শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন ৪৪ জন। আর নামঞ্জুর হয়েছিল ৫২টি আবেদন। চারটি আবেদন শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছিল। একটি আপিল আবেদনের বাদী অনুপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৩ ই ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনে ৯৯ জনের আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন ৪৫ জন। আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছিল ৫২ জনের। দুটি আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া ১২ ই ডিসেম্বর তৃতীয় দিনে ৬১ জন, ১১ ই ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনে ৫১ জন এবং ১০ই ডিসেম্বর প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পান।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬০টি আপিল আবেদন জমা পড়েছিল। গত ছয়দিনে আপিল আবেদনগুলোর শুনানি সম্পন্ন করল ইসি। তবে ইসির রায়ে অসন্তুষ্ট হলে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন ভুক্তভোগীরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ই ডিসেম্বর। ১৮ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।