ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
মার্কিন নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল :: ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৬৫, কমলা হ্যারিস ১৯৪, ফলাফল হয়নি ৭৯। জয়ের জন্য প্রয়োজন: ২৭০

এমপি প্রার্থীদের সম্পদের খোঁজে দুর্নীতি দমন কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এমপি প্রার্থীদের সম্পদের খোঁজ নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন। হলফনামা অনুযায়ী, অনেক প্রার্থীর সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় এমন চিন্তা করছে সংস্থাটি। জানা গেছে, এরই মধ্যে শতাধিক ব্যক্তির তালিকাও করা হয়েছে। অবৈধ উৎসের খোঁজ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান দুদক কমিশনার জহুরুল হক।

আয়-ব্যয় ও সম্পদের হিসাব দিয়েই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হয়েছে সবাইকে। তাঁদের হলফনামার চুলচেড়া বিশ্লেষণ করছে গণমাধ্যম। হিসাব-নিকাষ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ প্রার্থীরই সম্পদ বেড়েছে। কেউ কেউ শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন, অনেকের সম্পদ বেড়েছে কয়েকশ গুণ।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনার বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, প্রার্থীদের সম্পদ বাড়া কোনো অপরাধ নয়। তবে তা অবৈধভাবে অর্জিত কী না, তা খুঁজে দেখা উচিত। সঠিক তথ্য বেরিয়ে এলে সৎ ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন ভোটাররা।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কারো কারো ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হয়ে শাস্তিও হয়েছে, যদিও উচ্চ আদালতে বিবেচনাধীন রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এটা প্রনিধানযোগ্য যে অভিযোগগুলো যথার্থ। সেক্ষেত্রে এই ধরণের প্রার্থীকে ভোট না দেয়াই জনগণের কাছে প্রত্যাশিত।’

দুদক বলছে, প্রার্থীরা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পাশাপাশি গোয়েন্দাদের কাছ থেকেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, ‘সবার সম্পদ যে অবৈধ তা বলা যাবে না। বৈধও থাকতে পারে, অবৈধও থাকতে পারে। একটি পত্রিকায় রিপোর্ট আসলেই লোকটাকে অবৈধ সম্পদের মালিক বলা যাবে না। বিনা তদন্তে আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

নির্বাচনে কারা কালো টাকা খরচ করছে সেই নজরদারিও থাকবে বলে জানায় দুদক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এমপি প্রার্থীদের সম্পদের খোঁজে দুর্নীতি দমন কমিশন

আপডেট সময় : ০৫:৫১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

এমপি প্রার্থীদের সম্পদের খোঁজ নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন। হলফনামা অনুযায়ী, অনেক প্রার্থীর সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় এমন চিন্তা করছে সংস্থাটি। জানা গেছে, এরই মধ্যে শতাধিক ব্যক্তির তালিকাও করা হয়েছে। অবৈধ উৎসের খোঁজ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান দুদক কমিশনার জহুরুল হক।

আয়-ব্যয় ও সম্পদের হিসাব দিয়েই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হয়েছে সবাইকে। তাঁদের হলফনামার চুলচেড়া বিশ্লেষণ করছে গণমাধ্যম। হিসাব-নিকাষ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ প্রার্থীরই সম্পদ বেড়েছে। কেউ কেউ শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন, অনেকের সম্পদ বেড়েছে কয়েকশ গুণ।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনার বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, প্রার্থীদের সম্পদ বাড়া কোনো অপরাধ নয়। তবে তা অবৈধভাবে অর্জিত কী না, তা খুঁজে দেখা উচিত। সঠিক তথ্য বেরিয়ে এলে সৎ ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন ভোটাররা।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কারো কারো ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হয়ে শাস্তিও হয়েছে, যদিও উচ্চ আদালতে বিবেচনাধীন রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এটা প্রনিধানযোগ্য যে অভিযোগগুলো যথার্থ। সেক্ষেত্রে এই ধরণের প্রার্থীকে ভোট না দেয়াই জনগণের কাছে প্রত্যাশিত।’

দুদক বলছে, প্রার্থীরা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পাশাপাশি গোয়েন্দাদের কাছ থেকেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, ‘সবার সম্পদ যে অবৈধ তা বলা যাবে না। বৈধও থাকতে পারে, অবৈধও থাকতে পারে। একটি পত্রিকায় রিপোর্ট আসলেই লোকটাকে অবৈধ সম্পদের মালিক বলা যাবে না। বিনা তদন্তে আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

নির্বাচনে কারা কালো টাকা খরচ করছে সেই নজরদারিও থাকবে বলে জানায় দুদক।