০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৮৪১ কোটি টাকার

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগেরই সম্পদ বেড়েছে। তবে গত ৫ বছরে শুধু অর্থমন্ত্রী আ ফ ম মোস্তফা কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্পদ কমেছে। বাকি ২১ মন্ত্রীর সম্পদই বেড়েছে। এই সময়ে তাঁদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৮৪১ কোটি টাকার। ২০১৮ সালে ১ হাজার ৪৭ কোটি হলেও এবার তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া ৮ মন্ত্রীর দায় ও ঋণ রয়েছে ব্যাংকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী এসব তথ্য পাওয়া যায়।

আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আটটি তথ্য দাখিল করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রার্থীর ব্যবসা ও পেশার বিবরণী, সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী, কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার তথ্য। এবারেও সে অনুযায়ী প্রার্থীদের আয়–ব্যয়ের হিসাব নেওয়া হয়েছে। এতে সম্পদের ক্ষেত্রে প্রায় অধিকাংশ মন্ত্রীরই সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ৫ বছরে অর্থমন্ত্রীর আয় কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। অথচ ২০১৮ সালে তা ছিল ৯ কোটি ২ লাখ ১২ হাজার। সম্পদের পরিমাণ ২০১৮ সালে ৭০ কোটি টাকা হলেও এখন তা কমে হয়েছে ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্ষিক আয় এখন ২৬ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে তা ছিল ৩৬ লাখ।

অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বছরে আয় প্রায় ৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে তা ছিল ২ কোটি ২৮ লাখ। গত ৫ বছরে নগদ টাকা, কৃষি, বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা বিনিয়োগে তাঁর সম্পদ এখন ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বর্তমান সম্পদ ১১ কোটি থেকে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকায়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সম্পদ এখন ১১৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৪৭ কোটি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ২৬ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে। এর বাইরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ।

হলফনামার আটটি তথ্য বিশ্লেষণে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। তাঁর নগদ টাকা আছে ১০ কোটি ৯২ লাখ। ৫ বছর আগে তা ছিল ছয় লাখ। ৫ বছরে ৭ কোটি থেকে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ কোটিতে। যদিও এর বড় অংশই পৈত্রিক সম্পত্তি।

এ ছাড়াও সম্পদের সঙ্গে ঋণও বেড়েছে অনেক মন্ত্রীর। হলফনামা অনুযায়ী, ঋণ ও দায় থাকাদের মধ্যে আছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

২১ মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৮৪১ কোটি টাকার

আপডেট : ০৪:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগেরই সম্পদ বেড়েছে। তবে গত ৫ বছরে শুধু অর্থমন্ত্রী আ ফ ম মোস্তফা কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সম্পদ কমেছে। বাকি ২১ মন্ত্রীর সম্পদই বেড়েছে। এই সময়ে তাঁদের মোট সম্পদ বেড়েছে ৮৪১ কোটি টাকার। ২০১৮ সালে ১ হাজার ৪৭ কোটি হলেও এবার তা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকায়। এ ছাড়া ৮ মন্ত্রীর দায় ও ঋণ রয়েছে ব্যাংকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী এসব তথ্য পাওয়া যায়।

আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামার মাধ্যমে আটটি তথ্য দাখিল করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রার্থীর ব্যবসা ও পেশার বিবরণী, সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায়ের বিবরণী, কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার তথ্য। এবারেও সে অনুযায়ী প্রার্থীদের আয়–ব্যয়ের হিসাব নেওয়া হয়েছে। এতে সম্পদের ক্ষেত্রে প্রায় অধিকাংশ মন্ত্রীরই সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ৫ বছরে অর্থমন্ত্রীর আয় কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। অথচ ২০১৮ সালে তা ছিল ৯ কোটি ২ লাখ ১২ হাজার। সম্পদের পরিমাণ ২০১৮ সালে ৭০ কোটি টাকা হলেও এখন তা কমে হয়েছে ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার। আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্ষিক আয় এখন ২৬ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে তা ছিল ৩৬ লাখ।

অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বছরে আয় প্রায় ৪ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে তা ছিল ২ কোটি ২৮ লাখ। গত ৫ বছরে নগদ টাকা, কৃষি, বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা বিনিয়োগে তাঁর সম্পদ এখন ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের বর্তমান সম্পদ ১১ কোটি থেকে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকায়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সম্পদ এখন ১১৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ৪৭ কোটি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ২৬ কোটি টাকার সম্পদ বেড়েছে। এর বাইরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ।

হলফনামার আটটি তথ্য বিশ্লেষণে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের। তাঁর নগদ টাকা আছে ১০ কোটি ৯২ লাখ। ৫ বছর আগে তা ছিল ছয় লাখ। ৫ বছরে ৭ কোটি থেকে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ কোটিতে। যদিও এর বড় অংশই পৈত্রিক সম্পত্তি।

এ ছাড়াও সম্পদের সঙ্গে ঋণও বেড়েছে অনেক মন্ত্রীর। হলফনামা অনুযায়ী, ঋণ ও দায় থাকাদের মধ্যে আছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।