ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ক্ষমা না চাইলে ঢাকা থেকে পাকিস্তান দূতাবাস তুলে দেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একাত্তরে গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইলে ঢাকা থেকে পাকিস্তান দূতাবাস তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারিভাবে কয়েকবার ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও সাড়া দেয়নি ইসলামাবাদ।

একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোয় পাকিস্তানের প্রকাশ্যে কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজয়ের ৫২ বছর পরও পূরণ হয়নি। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা আলোচনায় ইসলামাবাদকে প্রস্তাবও দিয়েছে ঢাকা। তাগিদ দেওয়া হয়েছে কূটনৈতিকভাবেও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এর কোনো বিকল্প নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এর জন্য ক্ষমা চাচ্ছে। তবে প্রকাশ্যে তাঁরা চায় না। তাঁদের দেশের অনেকেই মনে করেন পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু দেশটির সামরিক বাহিনী রাজি না হওয়াতে তা সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিললে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে পাকিস্তান। তখন জাতিসংঘও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। কিন্তু এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকার উদাসিন বলে অভিযোগ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সরকারকে এব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকেও চিঠি দেয়নি। পাকিস্তান যদি ক্ষমা না চায় তাহলে পরিস্কারভাবে বলে দিতে হবে- এতো বড় দূতাবাস আমার রাখার দরকার নেই। সম্পর্ক নিচের দিকে নামিয়ে আনতে হবে। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে হবে।’

পাকিস্তানের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা পাওনা আদায়ের থেকেও গণহত্যার দায়ে বিচার হওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষমা না চাইলে ঢাকা থেকে পাকিস্তান দূতাবাস তুলে দেওয়ার দাবি

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

একাত্তরে গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাইলে ঢাকা থেকে পাকিস্তান দূতাবাস তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারিভাবে কয়েকবার ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও সাড়া দেয়নি ইসলামাবাদ।

একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোয় পাকিস্তানের প্রকাশ্যে কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি বিজয়ের ৫২ বছর পরও পূরণ হয়নি। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা আলোচনায় ইসলামাবাদকে প্রস্তাবও দিয়েছে ঢাকা। তাগিদ দেওয়া হয়েছে কূটনৈতিকভাবেও। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এর কোনো বিকল্প নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এর জন্য ক্ষমা চাচ্ছে। তবে প্রকাশ্যে তাঁরা চায় না। তাঁদের দেশের অনেকেই মনে করেন পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু দেশটির সামরিক বাহিনী রাজি না হওয়াতে তা সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিললে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে পাকিস্তান। তখন জাতিসংঘও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। কিন্তু এ স্বীকৃতি আদায়ে সরকার উদাসিন বলে অভিযোগ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সরকারকে এব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকেও চিঠি দেয়নি। পাকিস্তান যদি ক্ষমা না চায় তাহলে পরিস্কারভাবে বলে দিতে হবে- এতো বড় দূতাবাস আমার রাখার দরকার নেই। সম্পর্ক নিচের দিকে নামিয়ে আনতে হবে। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে হবে।’

পাকিস্তানের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ বা পাওনা আদায়ের থেকেও গণহত্যার দায়ে বিচার হওয়া জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।