কুয়েতের আমির মারা গেছেন, নতুন আমিরের নাম ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪৬০ বার পড়া হয়েছে
ক্ষমতায় আসার তিন বছর পর মারা গেছেন কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–সাবাহ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) তিনি মারা যান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে জানানো হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দেশটির পরবর্তী আমির হিসেবে সৎ ভাই মিশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: সৌদি গেজেট
নতুন আমিরের বর্তমান বয়স ৮৩ বছর। ২০২০ সালে তৎকালীন আমির সাবাহ আল-আহমেদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর ৮০ বছর বয়সে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন মিশাল। এর মাধ্যমে বিশ্বের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বয়স্ক ক্রাউন প্রিন্স’ হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।
নাওয়াফ ২০২০ সালে আমির হয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় থেকেই নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০২১ সালে চিকিৎসার জন্য একবার যুক্তরাষ্ট্রেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়। ওই সময় থেকেই নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন তিনি। ৮৬ বছর বয়সে শনিবার তার মৃত্যু হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–সাবাহর মৃত্যুর কারণ এখনো জানানো হয়নি। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তেল উৎপাদনকারী উপসাগরীয় দেশ কুয়েত আমেরিকার মিত্র রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত। সৌদি আরব ও ইরাকের সঙ্গে তাদের সীমান্ত রয়েছে।
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর ভাই শেখ সাবাহর মৃত্যুর পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হন শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–সাবাহ। তবে ২০২১ সাল থেকে দেশটির কার্যত (ডি ফ্যাক্টো) শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন যুবরাজ শেখ মেশাল আল–আহমদ আল–সাবাহ।
আমির হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে কয়েক দশক ধরে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন শেখ নাওয়াফ আল–আহমদ আল–সাবাহ। এর মধ্যে ১৯৯০ সালে তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েতে হামলা চালানোর সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন শেখ নাওয়াফ। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন।