বিজয়ের ৫৩ বছরে বাংলাদেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গোটা জাতি। ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে দলীয় নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতিসহ বিশিষ্টজনরা। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য খুলে দেয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। স্বাধীন হয়েছিলি প্রিয় মাতৃভূমি। তাই বাঙালি জাতির জীবনে এই দিনটি অবিস্মরণীয় ও গৌরবময়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯'র গণঅভ্যুত্থান, ৭১'র ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির দিন আজ।