পৌষকে বলা হয় শীতের মাস। যদিও এখন আর ছয় ঋতুর খুব একটা দেখা মেলে না। তবুও এই পৌষে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুতে সূর্যের হাসি প্রকৃতির নিয়মিত ছবি হয়ে থাকে। এই পৌষের প্রথম দিনে মৃদু শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চল। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তেঁতুলিয়াসহ পাশের এলাকায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে দুর্ভোগ দেখা দেয় জনজীবনে।
কনকনে শীতে দুঃস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সকালে কাজে যোগ কৃষি শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ বেড়েছে। তবে সকাল ৯টার পর সূর্যের দেখা মেলায় স্বস্তি ফিরে আসে জনজীবনে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের শিংপাড়া এলাকা কৃষি শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, রাতভর বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির পড়েছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত কনকনে শীত ছিল। হাত-পা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যায়। সকালে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছিল।
এদিন বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবাহাওয়া অধিদপ্তরের মতে দেশের ওই অঞ্চল দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ (৮-১০ ডিগ্রি সে. মধ্যে) বইছে।
গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ঘনকুয়াশা আর উত্তরের হিমশীতল বাতাস। এ সময় কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর বয়ে চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে জানায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ভোর ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা টেকনাফে ৩০.৬ ডিগ্রি সে.। এছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১.৪ ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।