ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) তিন জিম্মিকে ভুলক্রমে হত্যা করে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধারে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে চাপ প্রয়োগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
এরই প্রেক্ষিতে হামাসের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আবারও আলোচনা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। নতুন চুক্তি করতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নেয়া।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এরআগে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে মোসাদ প্রধানের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যম ওয়াল্লা নিউজ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এ দুজন বৈঠক করেছেন।
কাতারের মধ্যস্থতায় গত ২৪ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিলো হামাস ও ইসরায়েল। যা সাতদিন স্থায়ী হয়। ওই সময় ১১০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তবে সাতদিন পর চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করে গাজায় আবারও বর্বর হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা।
ওই সময় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নেয়, হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করা হবে। কিন্তু গত ১৬ দিনে একজন জিম্মিকেও জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি তারা। এরবদলে এক জিম্মিকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও কয়েকজন সেনা প্রাণ হারান। সঙ্গে নিহত হন ওই জিম্মিও।
ওই সময় হামাস হুমকি দেয়, তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করতে পারবে না ইসরায়েল। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল