ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

৩৫৫ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানের পেসার আমির জামালের বোলিং নৈপুন্যে পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। জামাল ১১১ রানে ৬ উইকেট নেন। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৩২ রান করেছে পাকিস্তান। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৫৫ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২১১ বলে ১৬৪ রানের অসাধারন ইনিংস খেলেন এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে যাওয়া ওয়ার্নার।

আজ, দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ১৫ ও অ্যালেক্স ক্যারি ১৪ রান নিয়ে খেলতে নামেন। দিনের ১৩তম ওভারে মার্শ-ক্যারি জুটি ভাঙ্গেন জামাল। ৪টি চারে ৩৪ রান করা ক্যারিকে বোল্ড করেন জামাল। এরপর ১২ রান করা মিচেল স্টার্ককেও বোল্ড আউট করেন জামাল।

ক্যারি ও স্টার্ক আউট হলে অন্যপ্রান্তে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মার্শ। কিন্তু নার্ভাস নাইন্টিতে পা দেওয়ার পরই মার্শের বিদায় নিশ্চিত করেন আরেক অভিষিক্ত পেসার খুররাম শাহজাদ। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৭ বলে ৯০ রানে বোল্ড হন মার্শ।

দলীয় ৪৭৬ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন মার্শ। এরপর ১১ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার শেষ দুই উইকেটের পতন ঘটান জামাল। ৪৮৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ১১১ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন জামাল। পাকিস্তানের নবম পেসার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিলেন তিনি।

এমনকি পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকে টেস্টে পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারও এখন ২৭ বছর বয়সী জামালের। এছাড়া শাহজাদ ২টি, আফ্রিদি-ফাহিম ১টি উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ৭৪ রানের সূচনা পায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৬টি চারে ৪২ রান করে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁওর শিকার হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক।

শফিক ফেরার পর অধিনায়ক শান মাসুদকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে সাবধানে খেলে দিন শেষ করার পথেই ছিলেন ইমাম ও মাসুদ। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হবার ২১ বল আগে বিদায় ঘন্টা বাজে মাসুদের। ৫টি চারে ৩০ রান করে স্টার্কের বলে সাজঘরে ফিরেন মাসুদ।

এরপর নাইটওয়াচম্যান শাহজাদকে নিয়ে দিনের বাকী সময় ভালোভাবে শেষ করেন ইমাম। শাহজাদ ৭ ও ইমাম ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক-লিঁও ১টি করে উইকেট নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩৫৫ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানের পেসার আমির জামালের বোলিং নৈপুন্যে পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৮৭ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। জামাল ১১১ রানে ৬ উইকেট নেন। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৩২ রান করেছে পাকিস্তান। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৫৫ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ১৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২১১ বলে ১৬৪ রানের অসাধারন ইনিংস খেলেন এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে যাওয়া ওয়ার্নার।

আজ, দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল মার্শ ১৫ ও অ্যালেক্স ক্যারি ১৪ রান নিয়ে খেলতে নামেন। দিনের ১৩তম ওভারে মার্শ-ক্যারি জুটি ভাঙ্গেন জামাল। ৪টি চারে ৩৪ রান করা ক্যারিকে বোল্ড করেন জামাল। এরপর ১২ রান করা মিচেল স্টার্ককেও বোল্ড আউট করেন জামাল।

ক্যারি ও স্টার্ক আউট হলে অন্যপ্রান্তে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন মার্শ। কিন্তু নার্ভাস নাইন্টিতে পা দেওয়ার পরই মার্শের বিদায় নিশ্চিত করেন আরেক অভিষিক্ত পেসার খুররাম শাহজাদ। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৭ বলে ৯০ রানে বোল্ড হন মার্শ।

দলীয় ৪৭৬ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন মার্শ। এরপর ১১ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার শেষ দুই উইকেটের পতন ঘটান জামাল। ৪৮৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ১১১ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন জামাল। পাকিস্তানের নবম পেসার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিলেন তিনি।

এমনকি পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকে টেস্টে পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারও এখন ২৭ বছর বয়সী জামালের। এছাড়া শাহজাদ ২টি, আফ্রিদি-ফাহিম ১টি উইকেট নেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ৭৪ রানের সূচনা পায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৬টি চারে ৪২ রান করে অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লিঁওর শিকার হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক।

শফিক ফেরার পর অধিনায়ক শান মাসুদকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের বিপক্ষে সাবধানে খেলে দিন শেষ করার পথেই ছিলেন ইমাম ও মাসুদ। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হবার ২১ বল আগে বিদায় ঘন্টা বাজে মাসুদের। ৫টি চারে ৩০ রান করে স্টার্কের বলে সাজঘরে ফিরেন মাসুদ।

এরপর নাইটওয়াচম্যান শাহজাদকে নিয়ে দিনের বাকী সময় ভালোভাবে শেষ করেন ইমাম। শাহজাদ ৭ ও ইমাম ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক-লিঁও ১টি করে উইকেট নেন।