মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসন থেকে প্রার্থিতা তুলে দিয়েছেন মোট ২৭ জন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। রোববার ঢাকার রিটার্নিং কর্মকতা সাবিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৬১ জন প্রার্থী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কার্যক্রম শেষ হয় রোববার বিকাল ৪টায়। আগামী সোমবার হবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ। এর পর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবেন নির্বাচনে অংশ নেওয়ারা।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন সকালেই সেগুনবাগিচার ঢাকা বিভাগীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে আসেন ঢাকার ৪ থেকে ১৮ আসনে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া প্রার্থীরা। আর ঢাকা ১ থেকে ৩ এবং ১৮ থেকে ২০ আসনের প্রার্থীরা যান পুরান ঢাকার জনসন রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এরমধ্যে, রংপুর–৩ রেখে ঢাকা-১৭ আসন এর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ ছাড়া ঢাকা-৬ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ।
এদিকে, ঢাকা-১৮ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন হাবিব হাসান। সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রেসিডিমাম সদস্য ও জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের।
ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান সালমা ইসলামও। তিনি ঢাকা-১ আসনে লড়বেন।
ঢাকা-১৭ আসন থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন দলটির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান।
এ সময় এম এ রাজ্জাক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ঢাকা–১৭ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। রংপুর–৩ আসনে তিনি নির্বাচন করবেন বলে ঢাকা–১৭ তে প্রত্যাহার করেছেন।’
রিটার্ন কর্মকর্তা সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১ জন, জাতীয় পার্টির ৭ জন, জাসদ একজন, জেপি একজন, ইসলামী ঐক্যজোট একজন, স্বতন্ত্র একজন, জাকের পার্টি ১৩ জন এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ১জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। সব মিলয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ২৭ জন।’
এছাড়াও চট্টগ্রাম-১ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক সাম্যবাদী দলের প্রার্থী ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। চট্টগ্রাম–৫ আসন থেকে প্রার্থিতা তুলে নিয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে বাছাইয়ের পর বৈধ প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৯৮৫ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিল করা ৭৩১ প্রার্থীর মধ্যে ৫৬০ জন আপিল করেন। আপিলের শুনানিতে ৬ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৮০ জন। আর বৈধতার বিরুদ্ধে আপিলে প্রার্থিতা হারান ৫ জন।
গত ১৫ নভেম্বর আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।