০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কে কোথায় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:২৭:২০ অপরাহ্ন, রোববার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৭৪ দেখেছেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আজ ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিনে দলীয় প্রাথীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনেকে শেষ সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। প্রত্যাহারের তালিকায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, স্বতন্ত্র, জাকের পার্টির প্রার্থীরাও। দেখে নেওয়া যাক কোন জেলায় কতজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন।

পঞ্চগড়ের দুইটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। পঞ্চগড়ের দুইটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন বৈধ হয়েছিল ১৭ জনের। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। পঞ্চগড়-১ (তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও সদর উপজেলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. মজাহারুল হক প্রধান মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া জাকের পার্টির দুই প্রার্থী আনিছুর রহমান ও সুমন রানা এবং জাসদের ফারুক আহাম্মদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এখানে সর্বশেষ আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন, স্বতন্ত্র একজন, জাতীয় পার্টির দুইজনসহ মোট আট জন প্রার্থী রয়েছেন।

অন্যদিকে পঞ্চগড়-২ (বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা) আসনে শুধু জাকের পার্টির প্রার্থী মো. শাহ আলম মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এই আসনে বৈধ পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে রেলমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ তৃণমূল বিএনপির মনোনয়নের নির্বাচনের অংশ নিচ্ছেন। এখানে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ চারজন প্রার্থী রয়েছেন।

তবে পঞ্চগড়-১ আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামা ভূঁইয়ার সাথে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভাবনা রয়েছে।

নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও নীলফামারী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলসহ জেলায় মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া, নীলফামারী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম, জাকের পার্টির প্রার্থী লতিবালী রহমান, নীলফামারী-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আবু সাঈদ, নীলফামারী-৩ আসনে জাসদের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ও নীলফামারী -৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখওয়াত হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

নীলফামারী জেলার চার আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২৭ জন। আগামীকাল সোমবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ জনসহ ১১ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। বগুড়ার ৭টি আসনে মোট বৈধ প্রার্থী ৫৩ জন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন, বগুড়া ১ স্বতন্ত্র আব্দুর রহমান, বগুড়া-২ আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক ও জাকের পার্টির আজগর আলী ফকির, বগুড়া ৩ এর জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা, আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ আসনের জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ আসনের জাকের পার্টির মাসুদ রানা, বগুড়া–৬ আসনের জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক, বগুড়া-৭ আসনের জাকের পার্টির নাজির মাহমুদ (রতন) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক আহম্মেদ।

বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে ৩টি আসন শরিকদের ছেড়ে দিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টিকে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া–৩ (আদমদিঘী-দুপচাঁচিয়া) আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার ও জাসদের বগুড়া–৪ (কাহালু- নন্দীগ্রাম) আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের হিরো আলম ও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আগামীকাল সোমবার বৈধ ৫৩ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

নাটোরের ৪টি নির্বাচনী আসন থেকে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন– নাটোর ১ (লালপুর- বাগাতিপাড়া) আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুর রহমান বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলকে সমর্থন জানিয়ে এবং লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমেদ সাগর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। নাটোর–৩ (সিংড়া) আসন থেকে জাকের পার্টি প্রার্থী মোছাঃ রাকিবা হক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

নাটোর–৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসন থেকে জাকের পাটির মনোনীত প্রার্থী রবিউল করিমও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছাঃ জাহানারা বেগম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে নাটোর ২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসন থেকে কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন নাই। ৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ৩২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন নাটোর জেলা থেকে।

পাবনার ৫টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনের জাকের পার্টির তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীরা হলেন, পাবনা-১ আসনে মুকুল হোসেন (জাকের পার্টি), পাবনা-৩ আসনে কামরুজ্জামান মো. হাদী (জাকের পার্টি) ও পাবনা-৫ আসনে মফিজ উদ্দিন প্রামানিক (জাকের পার্টি)।

বর্তমানে পাবনার ৫টি আসনে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন মোট ৩২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পাবনা-১ আসনে ৬ জন, পাবনা-২ আসনে ৭ জন, পাবনা-৩ আসনে ৭ জন, পাবনা-৪ আসনে ৬ জন এবং পাবনা-৫ আসনে ৫ জন।

পাবনা-১ আসনে (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (স্বতন্ত্র) সরদার শাজাহান (জাতীয় পার্টি) শামসুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) পারভীন খাতুন (জাসদ) জয়নাল আবেদীন (তৃণমুল বিএনপি)।

পাবনা-২ আসনে (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামী লীগ), কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনি (বিএনএম), মেহেদী হাসান রুবেল (জাতীয় পার্টি), আজিজুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শেখ আনিসুজ্জামান (জাসদ), আবুল কালাম আজাদ (তৃণমুল বিএনপি),মমিনুল ইসলাম (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

পাবনা-৩ আসনে (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ), আব্দুল হামিদ মাস্টার (স্বতন্ত্র),মীর নাদিম মোহাম্মদ ডাবলু (জাতীয় পার্টি), মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-বিএসপি), বেলাল মোল্লা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), খায়রুল আলম (গণতন্ত্রী পার্টি), আবুল বাশার শেখ (জাসদ)।

পাবনা-৪ আসনে (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গালিবুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক (জাসদ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), মো. পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস (স্বতন্ত্র), মো. মনছুর রহমান (ন্যশনাল পিপলস পার্টি), মো: আতাউর রহমান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ)।

পাবনা-৫ আসনে (সদর) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গোলাম ফারুক প্রিন্স (আওয়ামী লীগ), আব্দুল কাদের খান (জাতীয় পার্টি), মো. জাকির হোসেন (ওয়ার্কার্স পার্টি), মো. আবু দাউদ (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আফজাল হোসেন বটু (তৃণমুল বিএনপি)।

নেত্রকোণায় জাকের পার্টির দুই জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। প্রত্যাহার করা দুই জন হচ্ছেন, নেত্রকোণা-২ আসনের জাকের পার্টির মানিক চন্দ্র সরকার ও নেত্রকোণা-৩ আসনের একই দলের মো: সুরুজ আলী। জেলার ৫টি আসনে দাখিল করা ২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে জাকের পার্টির দুই জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছেন।

গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে ৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এদের মধ্যে জাকের পার্টির ৫ জন, জাতীয় পার্টির একজন ও তৃণমূল বিএনপির একজন প্রার্থী রয়েছেন। গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে জাকের পার্টির ৫ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপির দুইজন প্রার্থী তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে অপর প্রার্থীর সমর্থনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

গাজীপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে অপর প্রার্থী আল আমিন এবং তৃণমূল বিএনপির চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীকে সমর্থন জানিয়ে অপর প্রার্থী আব্দুল জব্বার সরকার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের ৪৪ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় গাজীপুর থেকে এবার ৩৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

টাঙ্গাইলে আটটি সংসদীয় আসনের ৬৪ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন- টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে জাকের পার্টির রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে জাকের পার্টির এনামুল হক মঞ্জু, টাঙ্গাইল-৩ আসন থেকে জাকের পার্টির আব্দুল আজিজ খান, টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে জাকের পার্টির দুলাল মিয়া, টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে জাকের পার্টির রাকিব হোসেন ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মামুনুর রহিম, টাঙ্গাইল-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই ও টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে জাকের পার্টির আব্দুল জলিল।

টাঙ্গাইলের আটটি আসনে এখন ভোটের মাঠে থাকছেন ৫৪ জন প্রার্থী। তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম সহ সাতজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর. দৌলতপুর ও শিবালয় ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জাকের পার্টির প্রার্থী দ্বীন মোহাম্মদ খান, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট হাসান সাঈদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন খান জকি।

মানিকগঞ্জ-২(সিংগাইর,হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) রফিকুল ইসলাম খান ও মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া ) আসন জাকের পার্টির দ্বীন মোহাম্মদ খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সৈয়দ সারোয়ার আলম।

চাঁদপুরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রত্যাহার করেছেন ছয় প্রার্থী। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. শহীদুল্লাহ্ ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ জাকের পার্টির চারজন প্রত্যাহার করেন। আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর চাঁদপুরের ৫ টি আসনের বাকী ২৯ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

ফেনীর ৩টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৫জন প্রার্থী। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন–ফেনী-১ আসন থেকে জাসদের শিরিন আক্তার ও জাকের পার্টির প্রার্থী রহিম উল্যাহ ভূঞা। ফেনী-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম এবং ফেনী-৩ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল বাশার ও জাকের পার্টির প্রার্থী আবুল হোসেন।

বর্তমানে ফেনীর ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন ২১জন প্রার্থী। ৩৮ জন মনোনয়ন জমা দিলে গত ১৩ ডিসেম্বর যাচাই বাচাইতে ১৭ জন প্রার্থী অবৈধ হলে ১০ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে ইসিতে আবেদন করলে ৫জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পায়।

বরিশালের ৬টি আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন প্রাথীর রয়েছেন ৩৫ জন। শেষ দিনে প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী ২ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, জাকের পার্টির ৪ এবং স্বতন্ত্র ২জন এনং ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন ।

বরিশাল-১ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় পার্টির সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী ও এনপিপি’র মোঃ তুহিন।

বরিশাল-২ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৭ জন। বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, তৃণমূল বিএনপির আলহাজ মো:শাহজাহান সিরাজ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন , এনপিপি’র সাহেব আলী , কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র এ কে ফায়জুল হক ও স্বতন্ত্র মোঃ মনিরুল ইসলাম।

বরিশাল-৩ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু, ওয়াকার্স পার্টির টিপু সুলতান, মো: আমিনুল হক স্বতন্ত্র, মো:আতিকুর রহমান স্বতন্ত্র, তৃণমূল বিএনপির শাহনাজ হোসেন ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মোঃ আজিমুল হাসান জিহাদ।

বরিশাল-৪ আসনে প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন– জাতীয় পার্টির মো: মিজানুর রহমান ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু ও পংকজ নাথ (স্বতন্ত্র)।

বরিশাল-৫ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন–মো: সালাউদ্দিন রিপন (স্বতন্ত্র), এনপিপি’র আব্দুল হান্নান সিকদার, আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক, জাতীয় পার্টির মোঃ ইকবাল হোসেন , বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মোঃ আসাদুজ্জামান।

বরিশাল-৬ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন–মোহাম্মদ মোহসিন জাসদ, নাসরিন জাহান রত্না জাতীয় পার্টি, মোঃ শাহবাজ মিয়া স্বতন্ত্র, এনপিপি’র মোঃ মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগের আব্দুল হাফিজ মল্লিক, মোঃ কামরুল ইসলাম খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মাইনুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপি’র টি এম জহিরুল হক তুহিন, মোঃ শামসুল আলম (স্বতন্ত্র), মোঃ জাকির খান সাগর (স্বতন্ত্র)।

পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনে মোট ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে ভোটে লড়বেন। পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনের প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, জাসদ মনোনীত প্রার্থী কেএম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী মহিউদ্দিন মামুন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনর প্রার্থী মোঃ খলিল ও বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ.স.ম ফিরোজ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. মহসীন হাওলাদার, মোঃ জোবায়ের হোসেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মাহবুবুল আলম।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস.এম শাহজাদা, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ ছাইফুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট মনোনীত এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনীত মোঃ নুরে আলম ও স্বতন্ত্র আবুল হোসেন।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিব্বুর রহমান মহিব, মোঃ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র), আবদুল্লাহ আল-ইসলাম লিটন (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত জাহাঙ্গির হোসেন, জাসদ (ইনু) বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু ও জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান হাওলাদার।

প্রত্যাহারকৃত প্রার্থীরা হলেন, পটুয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.মোঃ আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসীব আলম, পটুয়াখালী-৩ আসনের তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মোঃ ওবায়েদুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নড়াইল-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন বলে জানান তিনি। এর ফলে নড়াইল-২ আসনে এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্তজা সহ ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা হলেন– ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, এনপিপির মোঃ মনিরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের মোঃ লতিফুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোট মোঃ মাহবুবুর রহমান।

এছাড়া নড়াইল-১ আসনে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় সেখানেও ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আওয়ামী লীগের বিএম কবিরুল হক মুক্তি, ওয়ার্কার্স পার্টির মোঃ নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি(জেপি) শামীম আরা পারভিন, স্বতন্ত্র চন্দনা হক (আওয়ামী লীগের বিএম কবিরুল হক মুক্তির সহধর্মীনি), জাতীয় পার্টির মোঃ মিল্টন মোল্যা ও তৃনমুল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী।

রাঙামাটির একমাত্র আসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হারুন রশীদ মাতব্বর। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। রাঙামাটির একমাত্র আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৫ জন। এর আগে উষাতন প্রত্যাহার করায় নির্বাচনে থাকছেন বাকী ৩ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদার, সাংস্কৃতি ঐক্য জোটের আওয়ামী লীগ নেতা অমর কুমার দে এবং তৃণমুল বিএনপির মিজানুর রহমান।

কে কোথায় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন

আপডেট : ০৫:২৭:২০ অপরাহ্ন, রোববার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আজ ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শেষ দিনে দলীয় প্রাথীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনেকে শেষ সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। প্রত্যাহারের তালিকায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, স্বতন্ত্র, জাকের পার্টির প্রার্থীরাও। দেখে নেওয়া যাক কোন জেলায় কতজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন।

পঞ্চগড়ের দুইটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। পঞ্চগড়ের দুইটি সংসদীয় আসনে মনোনয়ন বৈধ হয়েছিল ১৭ জনের। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। পঞ্চগড়-১ (তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও সদর উপজেলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. মজাহারুল হক প্রধান মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া জাকের পার্টির দুই প্রার্থী আনিছুর রহমান ও সুমন রানা এবং জাসদের ফারুক আহাম্মদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এখানে সর্বশেষ আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন, স্বতন্ত্র একজন, জাতীয় পার্টির দুইজনসহ মোট আট জন প্রার্থী রয়েছেন।

অন্যদিকে পঞ্চগড়-২ (বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা) আসনে শুধু জাকের পার্টির প্রার্থী মো. শাহ আলম মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এই আসনে বৈধ পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী মনোনীত একক প্রার্থী হিসেবে রেলমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ তৃণমূল বিএনপির মনোনয়নের নির্বাচনের অংশ নিচ্ছেন। এখানে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ চারজন প্রার্থী রয়েছেন।

তবে পঞ্চগড়-১ আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার সাদাত। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাঈমুজ্জামা ভূঁইয়ার সাথে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভাবনা রয়েছে।

নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ও নীলফামারী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেন বাবুলসহ জেলায় মোট ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া, নীলফামারী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল আলম, জাকের পার্টির প্রার্থী লতিবালী রহমান, নীলফামারী-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আবু সাঈদ, নীলফামারী-৩ আসনে জাসদের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ও নীলফামারী -৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখওয়াত হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

নীলফামারী জেলার চার আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২৭ জন। আগামীকাল সোমবার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ জনসহ ১১ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। বগুড়ার ৭টি আসনে মোট বৈধ প্রার্থী ৫৩ জন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন, বগুড়া ১ স্বতন্ত্র আব্দুর রহমান, বগুড়া-২ আওয়ামী লীগের তৌহিদুর রহমান মানিক ও জাকের পার্টির আজগর আলী ফকির, বগুড়া ৩ এর জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা, আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়া-৪ আসনের জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, বগুড়া-৫ আসনের জাকের পার্টির মাসুদ রানা, বগুড়া–৬ আসনের জাকের পার্টির মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক, বগুড়া-৭ আসনের জাকের পার্টির নাজির মাহমুদ (রতন) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক আহম্মেদ।

বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে ৩টি আসন শরিকদের ছেড়ে দিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টিকে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া–৩ (আদমদিঘী-দুপচাঁচিয়া) আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার ও জাসদের বগুড়া–৪ (কাহালু- নন্দীগ্রাম) আসনে এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের হিরো আলম ও ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আগামীকাল সোমবার বৈধ ৫৩ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।

নাটোরের ৪টি নির্বাচনী আসন থেকে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন– নাটোর ১ (লালপুর- বাগাতিপাড়া) আসন থেকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুর রহমান বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলকে সমর্থন জানিয়ে এবং লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আহমেদ সাগর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। নাটোর–৩ (সিংড়া) আসন থেকে জাকের পার্টি প্রার্থী মোছাঃ রাকিবা হক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

নাটোর–৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসন থেকে জাকের পাটির মনোনীত প্রার্থী রবিউল করিমও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছাঃ জাহানারা বেগম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে নাটোর ২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসন থেকে কোন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন নাই। ৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ৩২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন নাটোর জেলা থেকে।

পাবনার ৫টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনের জাকের পার্টির তিন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীরা হলেন, পাবনা-১ আসনে মুকুল হোসেন (জাকের পার্টি), পাবনা-৩ আসনে কামরুজ্জামান মো. হাদী (জাকের পার্টি) ও পাবনা-৫ আসনে মফিজ উদ্দিন প্রামানিক (জাকের পার্টি)।

বর্তমানে পাবনার ৫টি আসনে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন মোট ৩২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পাবনা-১ আসনে ৬ জন, পাবনা-২ আসনে ৭ জন, পাবনা-৩ আসনে ৭ জন, পাবনা-৪ আসনে ৬ জন এবং পাবনা-৫ আসনে ৫ জন।

পাবনা-১ আসনে (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ), অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (স্বতন্ত্র) সরদার শাজাহান (জাতীয় পার্টি) শামসুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি) পারভীন খাতুন (জাসদ) জয়নাল আবেদীন (তৃণমুল বিএনপি)।

পাবনা-২ আসনে (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামী লীগ), কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনি (বিএনএম), মেহেদী হাসান রুবেল (জাতীয় পার্টি), আজিজুল হক (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), শেখ আনিসুজ্জামান (জাসদ), আবুল কালাম আজাদ (তৃণমুল বিএনপি),মমিনুল ইসলাম (বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন)।

পাবনা-৩ আসনে (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ), আব্দুল হামিদ মাস্টার (স্বতন্ত্র),মীর নাদিম মোহাম্মদ ডাবলু (জাতীয় পার্টি), মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী (বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি-বিএসপি), বেলাল মোল্লা (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), খায়রুল আলম (গণতন্ত্রী পার্টি), আবুল বাশার শেখ (জাসদ)।

পাবনা-৪ আসনে (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গালিবুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল খালেক (জাসদ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), মো. পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস (স্বতন্ত্র), মো. মনছুর রহমান (ন্যশনাল পিপলস পার্টি), মো: আতাউর রহমান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ)।

পাবনা-৫ আসনে (সদর) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গোলাম ফারুক প্রিন্স (আওয়ামী লীগ), আব্দুল কাদের খান (জাতীয় পার্টি), মো. জাকির হোসেন (ওয়ার্কার্স পার্টি), মো. আবু দাউদ (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), মো. আফজাল হোসেন বটু (তৃণমুল বিএনপি)।

নেত্রকোণায় জাকের পার্টির দুই জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। প্রত্যাহার করা দুই জন হচ্ছেন, নেত্রকোণা-২ আসনের জাকের পার্টির মানিক চন্দ্র সরকার ও নেত্রকোণা-৩ আসনের একই দলের মো: সুরুজ আলী। জেলার ৫টি আসনে দাখিল করা ২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে জাকের পার্টির দুই জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছেন।

গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে ৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এদের মধ্যে জাকের পার্টির ৫ জন, জাতীয় পার্টির একজন ও তৃণমূল বিএনপির একজন প্রার্থী রয়েছেন। গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে জাকের পার্টির ৫ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপির দুইজন প্রার্থী তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে অপর প্রার্থীর সমর্থনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

গাজীপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে অপর প্রার্থী আল আমিন এবং তৃণমূল বিএনপির চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীকে সমর্থন জানিয়ে অপর প্রার্থী আব্দুল জব্বার সরকার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের ৪৪ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় গাজীপুর থেকে এবার ৩৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

টাঙ্গাইলে আটটি সংসদীয় আসনের ৬৪ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন- টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে জাকের পার্টির রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে জাকের পার্টির এনামুল হক মঞ্জু, টাঙ্গাইল-৩ আসন থেকে জাকের পার্টির আব্দুল আজিজ খান, টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে জাকের পার্টির দুলাল মিয়া, টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে জাকের পার্টির রাকিব হোসেন ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মামুনুর রহিম, টাঙ্গাইল-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই ও টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে জাকের পার্টির আব্দুল জলিল।

টাঙ্গাইলের আটটি আসনে এখন ভোটের মাঠে থাকছেন ৫৪ জন প্রার্থী। তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম সহ সাতজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর. দৌলতপুর ও শিবালয় ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, জাকের পার্টির প্রার্থী দ্বীন মোহাম্মদ খান, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট হাসান সাঈদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন খান জকি।

মানিকগঞ্জ-২(সিংগাইর,হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) রফিকুল ইসলাম খান ও মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া ) আসন জাকের পার্টির দ্বীন মোহাম্মদ খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সৈয়দ সারোয়ার আলম।

চাঁদপুরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রত্যাহার করেছেন ছয় প্রার্থী। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. শহীদুল্লাহ্ ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ জাকের পার্টির চারজন প্রত্যাহার করেন। আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর চাঁদপুরের ৫ টি আসনের বাকী ২৯ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

ফেনীর ৩টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ৫জন প্রার্থী। প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন–ফেনী-১ আসন থেকে জাসদের শিরিন আক্তার ও জাকের পার্টির প্রার্থী রহিম উল্যাহ ভূঞা। ফেনী-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম এবং ফেনী-৩ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল বাশার ও জাকের পার্টির প্রার্থী আবুল হোসেন।

বর্তমানে ফেনীর ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন ২১জন প্রার্থী। ৩৮ জন মনোনয়ন জমা দিলে গত ১৩ ডিসেম্বর যাচাই বাচাইতে ১৭ জন প্রার্থী অবৈধ হলে ১০ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে ইসিতে আবেদন করলে ৫জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পায়।

বরিশালের ৬টি আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন প্রাথীর রয়েছেন ৩৫ জন। শেষ দিনে প্রত্যাহার করেছেন আওয়ামী ২ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, জাকের পার্টির ৪ এবং স্বতন্ত্র ২জন এনং ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন ।

বরিশাল-১ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় পার্টির সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী ও এনপিপি’র মোঃ তুহিন।

বরিশাল-২ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৭ জন। বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, তৃণমূল বিএনপির আলহাজ মো:শাহজাহান সিরাজ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন , এনপিপি’র সাহেব আলী , কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র এ কে ফায়জুল হক ও স্বতন্ত্র মোঃ মনিরুল ইসলাম।

বরিশাল-৩ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু, ওয়াকার্স পার্টির টিপু সুলতান, মো: আমিনুল হক স্বতন্ত্র, মো:আতিকুর রহমান স্বতন্ত্র, তৃণমূল বিএনপির শাহনাজ হোসেন ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মোঃ আজিমুল হাসান জিহাদ।

বরিশাল-৪ আসনে প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন– জাতীয় পার্টির মো: মিজানুর রহমান ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু ও পংকজ নাথ (স্বতন্ত্র)।

বরিশাল-৫ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন–মো: সালাউদ্দিন রিপন (স্বতন্ত্র), এনপিপি’র আব্দুল হান্নান সিকদার, আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক, জাতীয় পার্টির মোঃ ইকবাল হোসেন , বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মোঃ আসাদুজ্জামান।

বরিশাল-৬ আসনে এখন প্রার্থী রয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন–মোহাম্মদ মোহসিন জাসদ, নাসরিন জাহান রত্না জাতীয় পার্টি, মোঃ শাহবাজ মিয়া স্বতন্ত্র, এনপিপি’র মোঃ মোশারফ হোসেন, আওয়ামী লীগের আব্দুল হাফিজ মল্লিক, মোঃ কামরুল ইসলাম খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ মাইনুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপি’র টি এম জহিরুল হক তুহিন, মোঃ শামসুল আলম (স্বতন্ত্র), মোঃ জাকির খান সাগর (স্বতন্ত্র)।

পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনে মোট ২২ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে ভোটে লড়বেন। পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনের প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, জাসদ মনোনীত প্রার্থী কেএম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী মহিউদ্দিন মামুন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনর প্রার্থী মোঃ খলিল ও বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার।

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ.স.ম ফিরোজ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. মহসীন হাওলাদার, মোঃ জোবায়ের হোসেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মাহবুবুল আলম।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস.এম শাহজাদা, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ ছাইফুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট মনোনীত এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনোনীত মোঃ নুরে আলম ও স্বতন্ত্র আবুল হোসেন।

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিব্বুর রহমান মহিব, মোঃ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র), আবদুল্লাহ আল-ইসলাম লিটন (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত জাহাঙ্গির হোসেন, জাসদ (ইনু) বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু ও জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান হাওলাদার।

প্রত্যাহারকৃত প্রার্থীরা হলেন, পটুয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.মোঃ আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসীব আলম, পটুয়াখালী-৩ আসনের তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মোঃ ওবায়েদুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নড়াইল-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন বলে জানান তিনি। এর ফলে নড়াইল-২ আসনে এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মোর্তজা সহ ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা হলেন– ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, এনপিপির মোঃ মনিরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের মোঃ লতিফুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোট মোঃ মাহবুবুর রহমান।

এছাড়া নড়াইল-১ আসনে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় সেখানেও ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আওয়ামী লীগের বিএম কবিরুল হক মুক্তি, ওয়ার্কার্স পার্টির মোঃ নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি(জেপি) শামীম আরা পারভিন, স্বতন্ত্র চন্দনা হক (আওয়ামী লীগের বিএম কবিরুল হক মুক্তির সহধর্মীনি), জাতীয় পার্টির মোঃ মিল্টন মোল্যা ও তৃনমুল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী।

রাঙামাটির একমাত্র আসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হারুন রশীদ মাতব্বর। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। রাঙামাটির একমাত্র আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৫ জন। এর আগে উষাতন প্রত্যাহার করায় নির্বাচনে থাকছেন বাকী ৩ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের দীপংকর তালুকদার, সাংস্কৃতি ঐক্য জোটের আওয়ামী লীগ নেতা অমর কুমার দে এবং তৃণমুল বিএনপির মিজানুর রহমান।