২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় ভারত!
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের আয়োজক হতে চাইবে যে কেউই। কিন্তু চাইলেই তো আর হয় না, এর জন্য লড়াই করতে হয়। সে লড়াইয়ে শেষেই মিলে আয়োজক হওয়ার টিকিট। ইতোমধ্যে ২০৩০ বিশ্বকাপে আয়োজক চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখনো ঝুলে আছে ২০৩৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরের আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা।
তবে নির্ধারিত সময়ে সৌদি আরব ছাড়া আর কেউ আবেদন না করায় ধারণা করা হচ্ছে, এককভাবে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে এশিয়ার দেশটি। এর মধ্যে জোর গুঞ্জন ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে চায় ভারত। যদিও তারা আবেদন করেনি নির্ধারিত সময়ে। ফিফা চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় সৌদি ছাড়া আর কেউই আবেদন করেনি। উল্টো সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজক হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার, কিন্তু তারা সে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
কিন্তু আবেদনের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কিভাবে ভারত ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য আবেদন করবে, এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। আবেদন করতে পারুক আর না পারুক তবুও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) উঠেপড়ে লেগেছে যাতে তারা এ আসরে আয়োজক হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে দ্য ইকোনমিক টাইমস।
দ্য ইকোনমিক টাইমস এআইএফএফ এর সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, দেশটির সাবেক ফুটবলার যিনি এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে ফেডারেশন কর্তাদের এখন থেকেই ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ভারত সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজক হতে ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করেছে। ‘প্ল্যান বি’ হিসেবে ভারত চাইছে ১০৪টি ম্যাচের মধ্যে অন্তত ১০টি ম্যাচের আয়োজক হতে। গত ৯ নভেম্বর এআইএফএফ-র এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন কল্যাণ। ফেডারেশনের এক কর্তা বলেন, ‘সভাপতি বলেছেন ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের সহ-আয়োজন হওয়ার ব্যাপারে ভারতের অবশ্যই ভাবা এবং পরিকল্পনা করা উচিত। ২০৩৪ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য আমাদের যা যা করণীয় সব কিছু এক যোগে করতে হবে।’
২০২৭ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে। এ ক্ষেত্রেও সৌদি আরবের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। সে দেশের ফুটবলের উন্নতির প্রতিটি ক্ষেত্রে পাশে থাকার বিনিময়ে ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপের ১০টি ম্যাচ সহ-আয়োজন হিসেবে পেতে চায় ভারত। যদিও ফেডারেশনের ওই কর্তা সভাপতি কল্যাণের পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
গত বছর কাতারে বিশ্বকাপে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল ফিফা। কাতারের নিয়ম মানতে গিয়ে একাধিক স্পনসর সংস্থার ক্ষোভের মুখে পড়েছিল ফিফা। যার খেসারত হিসাবে বড় আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হয়েছে। ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপেও তেমন কিছু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোনও দেশ প্রতিযোগিতা আয়োজনের আগ্রহ না দেখানোয় ফিফার হাতে বিকল্প নেই। সূত্রের খবর, এই সুযোগটাই নিতে চাইছেন কল্যাণ। তা ছাড়া ভারতের বিশাল বাজার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আগ্রহী ফিফা কর্তারা। সেই বাজার এবং সৌদি আরবের রক্ষণশীল আইনকে হাতিয়ার করে এগুতে চাইছেন এআইএফএফ সভাপতি।
সত্যিই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হতে পারলে ভারত কি খেলারও সুযোগ পাবে? এ নিয়ে কোনও পক্ষের সঙ্গে কোনও রকম দরাদরিতে যেতে চান না ফেডারেশন কর্তারা। আপাতত তাদের লক্ষ্য শুধু ২০৩৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে সৌদি আরবের সহ-আয়োজক হওয়া।