ইসরায়েলের হামলা গাজায় নিহত ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ৪৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলা জাজিরার নিয়মিত তথ্যানুসারে নিহতদের মধ্যে শিশুই ৭ হাজার ৭০০-এর বেশি।
এদিকে গাজায় আহত ও নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে হুহু করে। প্রতিটি মুহূর্তই যেন ফিলিস্তিন বাসির জন্য একটি দুঃস্বপ্ন। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আহত হওয়ার সংখ্যা ৫২ হাজার ২৮৬। তাদের মধ্যে শিশু ৮ হাজার ৬৬৩টি এবং নারী ৬ হাজার ৩২৭ জন। এ ছাড়া গাজায় এখনো প্রায় আট হাজার মানুষ নিখোঁজ।
অন্যদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে গতকাল পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলই বাহিনীর অভিযানের সময় ৩০১ জনের প্রাণ গেছে। এর মধ্যে ৭২টি শিশু। আহত ৩ হাজার ৩৬৫ জনের বেশি।
হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। মাঝে যুদ্ধবিরতির কয়েক দিন বাদে গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলই বাহিনী। হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির—কিছুই বাদ যায়নি।
গাজার হাসপাতালে হামলা বন্ধ হলেও এখন ভিন্ন ভিন্ন স্থাপনাগুলোতে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) গাজার রাফাহতে আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। এতে শিশসহ অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তা রিচার্ড পিপারকর্ন জানান, ‘ইসরায়েলই অভিযানের পর হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি, হাসপাতালের কার্যক্রম আর কখনোই চালু হবে না।’
রিচার্ড পিপারকর্ন আরও জানান, সেখানে থাকা শিশুসহ রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলই বাহিনী গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে—এমনটাই মনে করছে ডব্লিউএইচও।