০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটি কূটচাল: রিজভী

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক দেয়া আগুনে ৪ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এসময় তিনি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আজ ভোর রাতে যারা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে চারজন যাত্রীর প্রাণপ্রদীপ নিভিয়ে দিলো তারা নিঃসন্দেহে মানুষ নামের কলঙ্ক। মহল বিশেষের প্রশ্রয় ব্যতিরেকে এ ধরণের মানবতাবিরোধী কাজ করা সম্ভব নয়। মূলত চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটি কুটচাল কি-না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। এটি সুপরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা। নাশকতাকারীরা মানবসভ্যতার শত্রুপক্ষ, এরা মানবজাতিকেই অস্তিত্বহীন করতে চায়।

তিনি বলেন, এ ধরণের লোমহর্ষক ও পৈশাচিক কাজ কেবলমাত্র অবৈধ ও গণবিরোধী শক্তির মদদেই হওয়া সম্ভব। আমি এই বর্বরোচিত ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে হতাহতের ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, আগুনের খবর ভোর পাঁচটা ৪ মিনিটে পাওয়া গেছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট পাঁচটা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রহরায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ হয়।

এ সময় একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। নাদিরার স্বামী কারওয়ান বাজারের একজন হার্ডওয়ার্ড ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় নাদিরা আক্তারের ভাই এবং তার আরও এক ছেলে ট্রেনে ছিল। তারা ট্রেন থেকে নামতে পারলেও নাদিরা নামতে পারেননি। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটি কূটচাল: রিজভী

আপডেট : ০৬:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে দুষ্কৃতিকারীদের কর্তৃক দেয়া আগুনে ৪ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এসময় তিনি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আজ ভোর রাতে যারা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে চারজন যাত্রীর প্রাণপ্রদীপ নিভিয়ে দিলো তারা নিঃসন্দেহে মানুষ নামের কলঙ্ক। মহল বিশেষের প্রশ্রয় ব্যতিরেকে এ ধরণের মানবতাবিরোধী কাজ করা সম্ভব নয়। মূলত চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এটি কুটচাল কি-না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। এটি সুপরিকল্পিত নাশকতার ঘটনা। নাশকতাকারীরা মানবসভ্যতার শত্রুপক্ষ, এরা মানবজাতিকেই অস্তিত্বহীন করতে চায়।

তিনি বলেন, এ ধরণের লোমহর্ষক ও পৈশাচিক কাজ কেবলমাত্র অবৈধ ও গণবিরোধী শক্তির মদদেই হওয়া সম্ভব। আমি এই বর্বরোচিত ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে হতাহতের ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, আগুনের খবর ভোর পাঁচটা ৪ মিনিটে পাওয়া গেছে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট পাঁচটা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রহরায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে আগুন নির্বাপণ হয়।

এ সময় একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন। নাদিরার স্বামী কারওয়ান বাজারের একজন হার্ডওয়ার্ড ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় নাদিরা আক্তারের ভাই এবং তার আরও এক ছেলে ট্রেনে ছিল। তারা ট্রেন থেকে নামতে পারলেও নাদিরা নামতে পারেননি। বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।