কাতারের মধ্যস্ততায় গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। এই আলোচনার জন্য পিছিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি তুললেও তা যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ভেস্তে যায়। তবে, বর্তমানে যুদ্ধবিরতির জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে রয়েছে ইসরায়েল, যা বেড়েই চলছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানায়, আজ মঙ্গলবারের (১৯ ডিসেম্বর) পরে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি তোলা হতে পারে। কিন্তু, গতকাল সোমবারই যুদ্ধবিরতির নতুন রেজুলেশন প্রকাশ করা হয়েছে। ওই রেজুলেশনে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারের জন্য জরুরি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবনাটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ভবিষ্যতে দুপক্ষের আপসে যেতে যতটুকু জোর প্রয়োজন ততটুকু শক্তি প্রস্তাবনার লেখাতে নেই।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিযুক্ত আল-জাজিজার সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল এলিজোনোদ বলেন, ‘নতুন প্রস্তাবনায় দুপেক্ষ শত্রুতা বন্ধের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনায় যুদ্ধবিরতির শব্দ থাকলেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, এতে হামাস লাভবান হবে। এর জন্য আগেরবারের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিতে পারে। আমাদের ধারণা, এর জন্য প্রস্তাবনার কিছু শব্দ সংযোজিত বা বিযোজিত করা হতে পারে।’