বাংলাদেশকে নিয়ে আমেরিকার সাথে প্রতিযোগিতা করছে না রাশিয়া
- আপডেট সময় : ০২:১৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোন প্রতিযোগিতা করছে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি জানালেন, তার দেশ শুধু বাংলাদেশকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ১০ বছর আগে ইউক্রেনের সঙ্গে যে আচরণ করেছিলো, বাংলাদেশের সঙ্গেও এখন তা করছে- জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মনটিটস্কি।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে পুঁতে রাখা মাইন ও ডুবে থাকা জাহাজ পরিষ্কারের অভিজ্ঞতা জানাতে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে সোভিয়েত প্যাসিফিক ফ্লিটের সদস্য ভিটালি গুবেনকো বাংলাদেশের বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে কিভাবে দুঃসাধ্য কাজ করেন সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলাদেশে আরব বসন্ত তৈরির শঙ্কা জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌ-বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিল। সেটা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি। তবে আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই— বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে তারা (পশ্চিমারা) কী করেছে, আর কী করতে পারে, সেটা আমরা তুলে ধরেছি।
এ সময় সাবেক ওই রাশিয়ান সামরিক কর্মকর্তা ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রাম আসি। তখন কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছর অক্লান্ত চেষ্টার মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাদের কথা আমার স্মরণে আছে।
ভারতের তামিলনাড়ুর তুলনায় বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির খরচ পাঁচ গুণ বৃদ্ধির কারণ তুলে ধরেন। অবকাঠামোর ধরন ও পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় খরচ বেড়েছে। সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়াও রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের খরচ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত।