০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা তৃতীয় মেয়াদে মিসরের প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসক আল-সিসি

স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি টানা তৃতীয় মেয়াদে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

নির্বাচন কর্তৃপক্ষের প্রধান হাজেম বাদাউয়ি বলেছেন, কাস্টিং ভোট অভূতপূর্বভাবে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। আর ফাত্তাহ আল-সিসি ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিসরে তিন দিনের নির্বাচনের পর গত ১২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সাবেক সেনাপ্রধান সিসি ভোট পেয়েছেন তিন কোটি ৯০ লাখ। গত এক দশক ধরে মিসরের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। সীমান্ত ঘেঁষা গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলাকালে এবং দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের সময় এ ভোট অনুষ্ঠিত হলো।

২০১৩ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে সিসি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। আগের দুই নির্বাচনেও ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি।

তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসনামলে মিসরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। আল-সিসি ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করেন। সেই সঙ্গে টানা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা বাড়িয়ে তিন মেয়াদ করেছেন।

সিসি আরও তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের কেউই হাই-প্রোফাইল ছিলেন না। প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করা এবং কয়েক ডজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রধান বিরোধী প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। সূত্র : আল-জাজিরা

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

টানা তৃতীয় মেয়াদে মিসরের প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসক আল-সিসি

আপডেট : ০৫:৪৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি টানা তৃতীয় মেয়াদে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশটির জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

নির্বাচন কর্তৃপক্ষের প্রধান হাজেম বাদাউয়ি বলেছেন, কাস্টিং ভোট অভূতপূর্বভাবে রেকর্ড ৬৬ দশমিক ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। আর ফাত্তাহ আল-সিসি ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিসরে তিন দিনের নির্বাচনের পর গত ১২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সাবেক সেনাপ্রধান সিসি ভোট পেয়েছেন তিন কোটি ৯০ লাখ। গত এক দশক ধরে মিসরের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। সীমান্ত ঘেঁষা গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ চলাকালে এবং দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটের সময় এ ভোট অনুষ্ঠিত হলো।

২০১৩ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে সিসি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। আগের দুই নির্বাচনেও ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি।

তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসনামলে মিসরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। আল-সিসি ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করেন। সেই সঙ্গে টানা দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা বাড়িয়ে তিন মেয়াদ করেছেন।

সিসি আরও তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের কেউই হাই-প্রোফাইল ছিলেন না। প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করা এবং কয়েক ডজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রধান বিরোধী প্রার্থী অভিযোগ করেছেন। সূত্র : আল-জাজিরা