ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই: বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রপ্তানি বাণিজ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা দেখছে না তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বরং দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বিজিএমইএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি জানান, শ্রমিকদের নতুন মজুরি কার্যকর হলেও এখনো অনেক ক্রেতা দাম বাড়ায়নি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশ্ব অর্থনীতির মোড়ল এই দেশটি নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে রপ্তানি নির্ভর দেশগুলোতে। সম্প্রতি শ্রমিক অধিকার রক্ষায় এমন এক নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ধারাবাহিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নত হচ্ছে। সংহত হচ্ছে শ্রমিক অধিকারও। রপ্তানিতে তাই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই।

মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশটির তুলা আমদানিতে দেয়া হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধা। গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধও তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো রকম শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। আমেরিকাও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য আমরাও সদস্য। যেকোনো দেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী এখানে কোনো কারণ নেই। শ্রম আইন লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। তাই আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। উদ্বিগ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই।

চলতি মাস থেকেই কার্যকর হচ্ছে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি। বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক ক্রেতা এখনো পণ্যের দাম বাড়ায়নি।

ফারুক হাসান আরও বলেন, পোশাক খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে ক্যারিয়ার সামিট। উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর চলবে এ আয়োজন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে ‘জোরালোভাবে সমর্থন করার’ অনুরোধ জানিয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) বরাবর চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই: বিজিএমইএ

আপডেট সময় : ০১:০১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

রপ্তানি বাণিজ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা দেখছে না তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বরং দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বিজিএমইএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি জানান, শ্রমিকদের নতুন মজুরি কার্যকর হলেও এখনো অনেক ক্রেতা দাম বাড়ায়নি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশ্ব অর্থনীতির মোড়ল এই দেশটি নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে রপ্তানি নির্ভর দেশগুলোতে। সম্প্রতি শ্রমিক অধিকার রক্ষায় এমন এক নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ধারাবাহিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নত হচ্ছে। সংহত হচ্ছে শ্রমিক অধিকারও। রপ্তানিতে তাই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই।

মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশটির তুলা আমদানিতে দেয়া হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধা। গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধও তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো রকম শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। আমেরিকাও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য আমরাও সদস্য। যেকোনো দেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী এখানে কোনো কারণ নেই। শ্রম আইন লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। তাই আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। উদ্বিগ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই।

চলতি মাস থেকেই কার্যকর হচ্ছে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি। বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক ক্রেতা এখনো পণ্যের দাম বাড়ায়নি।

ফারুক হাসান আরও বলেন, পোশাক খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে ক্যারিয়ার সামিট। উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর চলবে এ আয়োজন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিকে ‘জোরালোভাবে সমর্থন করার’ অনুরোধ জানিয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) বরাবর চিঠি দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের আট সদস্য।