০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে আমেরিকা, ইউরোপ ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে তিনি মস্কোর জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে পুতিন এসব কথা বলেন। বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু, জেনারেল স্টাফের প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) পরিচালক আলেকজান্ডার বোর্টনিকভসহ শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পুতিন বলেন, আমরা বরাবরই শান্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু পশ্চিমার তাঁর এ কথায় আস্থা রাখছেন না। তাঁদের মতে, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুতিন সত্যিকারের আগ্রহী নন। তিনি মূলত আগামী বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত কালক্ষেপণ করছেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে যারা রাশিয়ার ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে, অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেররিকা, তারা কি আলোচনা করতে চায়? করুক তবে। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই যা আলোচনা করার করব।’

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করার কোনও ইচ্ছাই রাশিয়ার নেই। তবে আমারা আমাদের দেশের স্বার্থে এক বিন্দুও ছাড় দেব না।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, রুশ বাহিনী সেখানে যুদ্ধাপরাধ করেছে, এমন আলামতও রয়েছে। আমরা ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন হতে দেখেছি, যা রুশ বাহিনীর স্পষ্ট যুদ্ধপারাধের ইঙ্গিত দেয়।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এ যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘাত বলা হচ্ছে। ১৯৬২ সালের কিউবার মিসাইল সংকটের পর এটাই রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় বিরোধ।

আপাতদৃষ্টিতে, শান্তি আলোচনা বা যুদ্ধ সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়া জানিয়েছে, লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, তাদের ভূখণ্ড থেকে সব রুশ সেনাকে তাড়ানোর পরই যুদ্ধ বন্ধ করবে ইউক্রেন। কিয়েভ আরও জানিয়েছে, ২০১৪ সালে রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপকেও দখলমুক্ত করবে তারা।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন

আপডেট : ০৬:৩৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে আমেরিকা, ইউরোপ ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে তিনি মস্কোর জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে পুতিন এসব কথা বলেন। বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু, জেনারেল স্টাফের প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) পরিচালক আলেকজান্ডার বোর্টনিকভসহ শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পুতিন বলেন, আমরা বরাবরই শান্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু পশ্চিমার তাঁর এ কথায় আস্থা রাখছেন না। তাঁদের মতে, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুতিন সত্যিকারের আগ্রহী নন। তিনি মূলত আগামী বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত কালক্ষেপণ করছেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনে যারা রাশিয়ার ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে, অর্থাৎ ইউরোপ ও আমেররিকা, তারা কি আলোচনা করতে চায়? করুক তবে। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই যা আলোচনা করার করব।’

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করার কোনও ইচ্ছাই রাশিয়ার নেই। তবে আমারা আমাদের দেশের স্বার্থে এক বিন্দুও ছাড় দেব না।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, রুশ বাহিনী সেখানে যুদ্ধাপরাধ করেছে, এমন আলামতও রয়েছে। আমরা ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন হতে দেখেছি, যা রুশ বাহিনীর স্পষ্ট যুদ্ধপারাধের ইঙ্গিত দেয়।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। এ যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘাত বলা হচ্ছে। ১৯৬২ সালের কিউবার মিসাইল সংকটের পর এটাই রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় বিরোধ।

আপাতদৃষ্টিতে, শান্তি আলোচনা বা যুদ্ধ সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়া জানিয়েছে, লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, তাদের ভূখণ্ড থেকে সব রুশ সেনাকে তাড়ানোর পরই যুদ্ধ বন্ধ করবে ইউক্রেন। কিয়েভ আরও জানিয়েছে, ২০১৪ সালে রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপকেও দখলমুক্ত করবে তারা।